বাংলা সাহিত্যের বিভিনড়ব শাখায় ‘পাখি’ বিষয়টি নানাভাবে উঠে এসেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চμবর্তী, বুদ্ধদেব বসু, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরীসহ আরও অনেকের লেখায় বিভিনড়ব প্রসঙ্গে পাখির কথা উঠে এসেছে। তবে পাখিদের কথা সবচেয়ে বেশি লিখেছেন জীবনানন্দ দাশ। মানজুর মুহাম্মদ একজন নিভৃতচারী পাখি গবেষক ও লেখক। তিনি পাখির প্রেমে মজে আছেন শৈশব থেকে। পাখি তাঁর সাহিত্যকর্মের এক আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। ‘গল্পগুলো পাখির’ মানজুর মুহাম্মদের ষষ্ঠ গল্পগ্রন্থ। পাখির সামগ্রিক জীবন নিয়ে এত বিস্তৃত তথ্যবহুল গল্প ইতোপূর্বে খুব কমই রচিত হয়েছে। এই গ্রন্থে সাত রকমের পাখি নিয়ে সাতটি গল্প রয়েছে। গল্পগুলোতে পাখির শারীরিক নিখুঁত বর্ণনা, পাখিদের বিচিত্র চরিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। প্রতিটি গল্প পাখি-জীবনের সুখ দুঃখ হাসি কানড়বার নানান বিষয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মানুষের কাছে পাখিকে আপন করে তোলার লেখকের একান্ত প্রচেষ্টা গল্পের মূল সুরে গভীরভাবে ছায়া ফেলেছে। এই গ্রন্থের গল্পগুলো পাঠ করার পর পাঠক পাখিকে মানবজীবনে নতুন করে আবিষ্কার করবে। পাঠকের কাছে পাখি হয়ে উঠবে আত্মার আত্মীয়। এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। শরীফ খান কথাসাহিত্যিক, পাখি ও বন্যপ্রাণীবিশারদ