ভূমিকা 'অপ্রতিরোধ্য বলা' বইটির গল্পগুলো জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞত খন্ডাংশ মাত্র। হাসপাতাল থেকে শুরু করে শোকের বাড়ি এমনকি বিয়ে বাড়ি সর্বত্র লেখার কাগজ-কলম এবং মাথার ভেতর গল্প বহন করার দিনগুলো ছিল কৃষকের লাঙ্গল বয়ে নেবার মতোন। জীবনের নানা বাঁকে কতশত মানুষের দেখা পেয়েছি। কতজনের শূণ্য চোখ আর ব্যথাভরা হাসি আমাকে দিয়েছে হয়তো ছোট্ট একটি শব্দ অথবা বাক্য। সেই বিপুল জনস্রোতের ক্ষুদ্রাতী ক্ষুদ্র জলকণা গল্পে ধারণ করার অক্ষম প্রয়াস অব্যহত রেখে চলেছি আজও। গল্প লেখার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়েছেন যাঁরা তাঁদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। প্রথমেই উল্লেখ করতে চাই যার নাম, তিনি হলেন পরম শ্রদ্ধেয় প্রয়াত কবি ও ছড়াকার রকিবুল হাসান (বুলবুল) (উপাধক্ষ্য), পাবনা ক্যাডেট কলেজ। ধন্যবাদ জানাই বন্ধু ও লেখক কাবেরী রায় চৌধুরী এবং রঞ্জনা বিশ্বাসকে। তাঁদের জন্য রইলো আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভকামনা। কাগজে-কলমে লিখিত প্রত্যেকটি গল্প প্রযুক্তিগত (কম্পিউটার কম্পোজ) সাহায্য করেছেন আমার জীবনসঙ্গী আলোকচিত্রি ও ভ্রমণগদ্য লেখক রিয়াসাত হাসান জ্যোতি। এবং অবধারিতভাবে গল্পগুলোর প্রথম পাঠকও তিনি। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই প্রয়াত কালি ও কলম পত্রিকার সম্মানিত সম্পাদক আবুল হাসনাতকে। কোন এক ছোটগল্প সংখ্যায় প্রকাশিত গল্পের জন্য তিনি টেলিফোন করে আন্তরিক ও সংক্ষিপ্তভাবে বলেছিলেন- 'আপনার লেখা গল্পটি ভালো হয়েছে।' তাঁর এই বক্তব্যটি গল্প লেখার প্রতি বিপুলভাবে প্রেরণা জুগিয়েছে। 'অপ্রতিরোধ্য বসন্ত' বইটির অনাগত পাঠকদের জন্যে রইলো প্রাণভরা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।