আল্লাহ তা'আলা বলেন, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ (আল-কুরআন, সূরা আয-যুমার, আয়াত নং ৯) জানার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। বই পড়লে মানসিক প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকে। মস্তিষ্ক চিন্তা করার খোরাক পায়, সৃজনশীলতা বাড়ে এবং তথ্য ধরে রাখার ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। টলস্টয় বলেছেন, ‘জীবনে মাত্র তিনটি জিনিসের প্রয়োজন। আর তা হলো বই, বই এবং বই।’ হতে পারে তা গল্প, কবিতা, উপন্যাস কিংবা প্রবন্ধের। আমাদের সমাজের চারপাশে নিত্য ঘটে চলেছে নানা ধরনের অনৈতিক ও অপ্রীতিকর ঘটনা। সবকিছু দেখেও যেনো আমরা না দেখার ভান করে জীবন অতিবাহিত করছি। অথচ একজন মুসলিম হিসেবে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে যথাসাধ্য প্রতিবাদ করা ইমানী দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমি সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া নানান ধরনের ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা কবিতামালা নিয়ে ‘আত্মচিৎকার’ শীর্ষক বইটি সাজিয়েছি, যাতে সকল অন্যায়, অনাচার ও অপরাধ থেকে বিরত থাকার এবং ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার বার্তা প্রদান করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি, আমার এই কবিতার বইটি পাঠকদের ভালো লাগবে এবং তারা উপকৃত হবেন। এই বইটি পড়ে কেউ যদি সামান্যও উপকৃত হন তাহলে আমি আমার পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করবো।
১৯৮৪ সালের ৩১ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ২০০৬ সালে এলএলবি (অনার্স) ও ২০০৭ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভাগ থেকে মাস্টার্স এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ থেকে বিশেষ ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধীনে এমফিল (লিডিং টু পিএইচডি) প্রোগ্রামে গবেষণারত রয়েছেন। জনাব ইসলাম প্রথমবারেই ৩য় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ‘সহকারী জজ’ হিসেবে খুলনা জেলা জজশীপে যোগদান করেন। অতঃপর পদোন্নতি পেয়ে ‘সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’ হিসেবে ঢাকায় এবং ‘যুগ্ম জেলা জজ’ হিসেবে ঠাঁকুরগাঁও, মেহেরপুর এবং ঝিনাইদহ জেলা জজশীপে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ’ হিসেবে কুষ্টিয়া জেলা জজশীপে কর্মরত আছেন। মা-বাবার ৭ ছেলে ও ১ মেয়ের সংসারে তার অবস্থান অষ্টম। বাবা আবুল হোসেন (রাহেমাহুল্লাহ), অধ্যাপক (অব.) আর মা জামিলা বেগম (রাহেমাহাল্লাহ), গৃহিনী। ব্যক্তিগত জীবনে জনাব ইসলাম বিবাহিত। স্ত্রী জনাবা ফেরদৌসী আক্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’র ইংরেজি বিভাগে ‘সহকারী অধ্যাপিকা’ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ২ কন্যা এবং ১ পুত্র সন্তানের জনক। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে তিনি বই পড়া, গবেষণা, লেখালেখি আর পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। ইতোপূর্বে তার লিখিত ‘সাংবিধানিক আইনের সহজপাঠ’, শিশু আইনের উপরে Juvenile Delinquency in Bangladesh: Identifying the causes with prevention and Rehabilitation এবং ‘বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা ঃ স্বাধীনতার ৫০ বছর’ শিরোনামে ৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে। শিশু আইনের উপরে লিখিত বইটি বিশ্বের মোট ৯টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাছাড়া জনাব মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম আইন গবেষক ও কলামিস্ট হিসেবে পত্রপত্রিকায় সমসাময়িক বিষয় ও আইন নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করে থাকেন।