কোরআনের দৃষ্টান্তমূলক কাহিনি থেকে আমরা উপদেশ ও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। এটাই কোরআনের মহান শিক্ষা। অনেক অনেক দিন আগের কথা। আরবের এক শহরে এক সম্প্রদায়ের লোক বাস করতো। শহরটি ছিল মৃত সাগরের পাশে। শহরের লোকেরা অধিকাংশই খারাপ ছিল। মন্দ কাজে তাদের জুড়ি ছিল না। তাদের অন্যতম প্রধান অপকর্ম হল তারা সমকামীতায় লিপ্ত ছিল। এটা জগতের সবচাইতে ঘৃণিত ও নিকৃষ্টতম মন্দকর্ম। এছাড়াও তারা নানারূপ অন্যায় কাজে জড়িত ছিল। এসব লোক চুরি-ডাকাতি করত। তারা ভ্রমণকারীদের ধরে সর্বস্ব লুট করে নিত। এমনকি তারা ভ্রমণকারীদের হত্যা পর্যন্ত করত। এসব মন্দ লোকের কাছে আল্লাহপাক একজন নবী পাঠালেন। তাঁর নাম হজরত লুত (আ.)। তিনি আল্লাহকে ভয় করতেন। তাই তিনি তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিলেন। কিন্তু তাঁর কাওমের লোকেরা নবীর কথায় কান দিত না। এরপর আল্লাহপাক গজব দিয়ে তাদের ধ্বংস করে দিলেন। এরকম অসংখ্য কাহিনি কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। এই গ্রন্থে সেসব কাহিনির বিবরণ, শিক্ষা ও পরিণতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। সব ধরনের পাঠকের কাছে বইটি শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।