১৯৪২ সালে ব্রজেন্দ্র নাথ ব্যানার্জি রচিত 'বেগমস অব বেঙ্গল' মের্সার্স.এস.কে.মিত্র এন্ড ব্রাদার্স, ১২, নারকেল বাগান লেন, কোলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। বইটি ইংরেজিতে লেখা। এই গ্রন্থে বাংলার বেগমদের জীবন আলোচনা করতে গিয়ে গ্রন্থকার বাংলার তৎকালের ইতিহাস তুলে এনেছেন। লেখক যথাসম্ভব রাষ্ট্রীয় দলিল দস্তাবেজ থেকেই ইতিহাস ও বেগমদের জীবন আচরণ বর্ণনা করেছেন। পলাশী যুদ্ধের পর নবাবদের প্রাপ্ত বয়স্ক কোন পুরুষ উত্তরাধিকারী ছিল না। কয়েকজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক উত্তরাধিকারী নামেমাত্র নবাব হয়েছেন। একারণে নবাবদের বেগমরাই অর্থাৎ রাজমাতারাই রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করতেন। নিয়ন্ত্রণ থাকত কোম্পানীর হাতেই। নবাবদের কলহকোন্দলের জন্যই বেগমদের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ ও মর্মন্তুদ এবং তাঁদের পরিণতি হয়েছে হৃদয় বিদারক। বর্তমান সময়ে স্কুলকলেজে ব্রিটিশ আমলের মত ইংরেজি চর্চা করা হয় না। আগে ইংরেজি পাঠ্য ছিল দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে, এখন পাঠ্য বিদেশি ভাষা হিসেবে। ফলে ইংরেজিতে লেখা বই পড়তে আগ্রহী পাঠকও তেমন নেই। এ কারণে বইটি বাংলায় অনুবাদ করে দেশীয় পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য। অনুবাদ ছাড়া বিশ্বের সাহিত্যসংস্কৃতি ও জ্ঞানবিজ্ঞান বিষয়ে জানার সুযোগ খুব বেশি নেই। বইটি মুদ্রণের সুযোগ করে দিয়েছেন জামালপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন শ্রদ্ধেয় ড. সুধাময় দাস। আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আইয়ুব আল আমিন। কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে আমি যেখানে বাধাগ্রস্ত হয়েছি, সেখানে বাধা অতিক্রম করতে আমাকে সাহায্য করেছেন ইমরান আহমেদ ও শরীফুন নাহার শম্পা। ইমরান আহমেদ আমার পুত্র; আর শরীফুন নাহার শম্পা জামালপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই দিব্যপ্রকাশের ম্যানেজার জনাব সোহরাব হাসান ও জনাব খায়রুল হাসান সাজুকে। তারা দায়িত্ব না নিলে এ-বই আলোর মুখ দেখত না।