ভূমিকাbr নব্বই-এর দশকে অল্প স্বল্প লেখালেখির অভ্যেস ছিলো। তারপর কবে কখন নিজেকে লেখা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি তা বুঝতেই পারিনি। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আমার ইয়ারমেট বন্ধু জীনাত প্রত্যক্ষভাবে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। আবারও কথা হতে থাকে লেখালেখি নিয়ে নিজেদের মাঝে। আমরা একটা সাহিত্য সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপ ক্রিয়েট করার কথা ভাবি এবং ফলাফল স্বরূপ কালিকলম গ্রুপের জন্ম হয়। ধীরে ধীরে অনেক বন্ধু আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে যোগদান করে এবং নিয়মিত লেখা দেয়। একসময় দেখলাম, প্রায় সকল বন্ধুই অসাধারণ লেখা লিখে। কিছু বন্ধুকে লিখার আমন্ত্রণ জানাই। যারা কিনা এর আগে কখনোই গল্প কবিতা কিছুই লিখেনি। তারাও যে মানের লেখা দিয়েছে যা প্রশংসার দাবি রাখে।br এই সকল বন্ধুদের কাছ থেকে ছোট ছোট সহযোগিতা নিয়ে নিজেদের লেখা দিয়ে এমন একটা বই ছাপা হবে তা কখনো ভাবিনি। বইটি আমাদের কালিকলমের সদস্যদের লেখা দিয়েই সাজানো হয়েছে। এখানে প্রেম, ভালোবাসা, রম্য, বাস্তব এবং জীবন থেকে নেয়া অনেক লেখা স্থান পেয়েছে। বইটিতে বড় মাপের লেখক থেকে শুরু করে যারা লেখায় সবেমাত্র হাতেখড়ি হয়েছে, তাদের সবার সুন্দর সুন্দর গল্প, কবিতা দিয়ে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। অবশেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির একদম শেষে বইমেলা সামনে রেখে আমাদের বইটা আত্মপ্রকাশ করে। আশা রাখছি, সবার মনে ছোট্ট একটি স্থান পাবে বইটি। দ্রুত প্রকাশনায় সহযোগিতার জন্যে আমরা ইছামতি প্রকাশনীর নিকট কৃতজ্ঞ। কালিকলম ফেসবুক গ্রুপ সৃষ্টির শুরু থেকে যে সকল বন্ধুরা ছায়াসঙ্গী হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে তাদের নাম বলতেই হয়। ধন্যবাদ জীনাত, রুপা, আসমা, শাহেদ; তোরা আছিস বলেই গ্রুপটা জীবন্ত। এছাড়া আরও অনেক বন্ধু রয়েছে যারাও বিনা স্বার্থে গ্রুপের সাথে কাজ করে গেছে এবং এখনো কাজ করে যাচ্ছে।br কালিকলম গ্রুপের সকল বন্ধুর প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো। আগামীতে সবাইকে আরো কাছে পাবো এবং নিজেদের লেখা দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে আরও বই নিয়ে হাজির হতে পারবো, সেই প্রত্যাশায়–br আলম এম.