কবির প্রতি সম্পূর্ণ প্রেম ও শ্রদ্ধা থেকে এই গ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অমরত্বের লোভে সৈয়দ নাজমুল করিম লেখালেখি করেননি। সারস্বত সাধনাই ছিল তাঁর জীবন। আমরা তাঁর স্নিগ্ধ ও পবিত্র জীবনযাপনটাকেই আগামীকালের সৎ ও ধীমান অনুজের জন্য রেখে যাচ্ছি। অগ্রজের কবিজীবন থেকেই একজন অনুজের পাঠ নেওয়া লাগে। কবিতা লেখা শেখা যায় না। কবিজীবনটা দেখে চৈতন্যের একটা ধারণা লাভ করা যায়। সেই লক্ষ্যেই রচনাসংগ্রহের মাধ্যমে এই কবিকে হাজির করেছি। কবির জীবন থেকে কবিকেই শিখতে হবে। সৎ থাকার প্রতিজ্ঞা এবং চক্ষুকে পরিষ্কার রাখার দীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ভাঙনের সুখে, সম্মোহে সৈয়দ নাজমুল করিমের একমাত্র প্রকাশিত গ্রন্থ। নির্বাচিত প্রকাশনা সংস্থা, ঢাকা থেকে ১৯৯৫ সালের অমর একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হয়। ‘ফুল কুড়ানোর পথে ও অন্যান্য কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো ফেইসবুক পোস্ট এবং বিভিন্ন পত্রিকা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। ‘আবির্ভাবদশক ও কবি নূরুল হক’, ‘তাঁর সঙ্গে পরিচয় ও আড্ডা’, ‘ইঙ্গিত ও চিন্তা উসকে দেওয়ার সৌন্দর্য’ এই তিনিটি প্রকাশিত গদ্যসহ ফেইসবুকে বিভিন্ন সময়ে লেখা খণ্ড খণ্ড চিন্তাও সংকলনে স্থান পেয়েছে। নেত্রকোণা জেলার ইতিহাস তিনি লিখতে চেয়েছিলেন। শুরুও করেছিলেন। নেত্রকোণা শহরে শিল্প-সংস্কৃতি বা নন্দন সৌন্দর্যের চর্চা শিরোনামে কয়েক পর্বের লেখাটি মূলত তারই প্রতিচ্ছবি। লেখাগুলো যতই ক্ষুদ্র কিংবা চূর্ণচিন্তন হোক মগড়া জনপদের বহমান সংস্কৃতির প্রত্নরূপটিই প্রকাশিত হয়েছে।