মানুষের সবচেয়ে আকাঙ্খিত বিষয় হলো ন্যায়বিচার। আইন ও আদালতের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। নাগরিকের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইন ও আদালতের ভ‚মিকা এবং সাধারণ মানুষ এসব সুবিধা কতটুকু ভোগ করছে -এ সকল বাস্তবতা প্রসঙ্গে লেখকের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধসমূহ সংকলিত (পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত) হয়েছে বইটিতে। বইটির প্রথম অধ্যায়ের অলোচনার বিষয় আইনে নারী ও শিশুর অধিকার। এ প্রসঙ্গে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আইনগত অধিকার ও সামাজিক প্রেক্ষিত, আইনে প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার, নারীর পারিবারিক আইন, যৌতুক প্রথা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে আইনগত পদক্ষেপসমূহ আলোকপাত করা হয়েছে। প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর আইনগত অধিকার ও সামাজিক প্রেক্ষাপট দ্বিতীয় অধ্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবীণ অধিকার রক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগসমূহ, প্রবীণ সংক্রান্ত আইন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইনের সফলতা ও ব্যর্থতাসমূহ পর্যালোচনা করা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রমিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে চা শ্রমিকদের অধিকার প্রয়োগে প্রতিবন্ধকতা, শিশু শ্রম নিরসনে আইনগত পদক্ষেপ, গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকের মজুরির অধিকার এবং নিরাপত্তার বিধানাবলী বিশ্লেষণ করা হয়েছে। শুধু আইন-অধিকার নয়, আইনের কাছে যাওয়ার সুযোগও পেতে হবে প্রত্যেক নাগরিককে। সর্বশেষে চতুর্থ অধ্যায়ে বিচার ব্যবস্থায় বাংলা ভাষার প্রায়োগিক দিকসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অধ্যায়ে উচ্চ আদালতে বর্তমানে বাংলা ভাষার অবস্থান, বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলা ভাষা ব্যবহারে প্রায়োগিক দিকনির্দেশনা আলোকপাত করা হয়েছে।