একজন লেখক তাঁর জীবন থেকে নেয়া বাস্তবতা এবং অভিজ্ঞতা সমাজ ও যাপিতজীবনের নানান বিষয় হৃদয়ের মাধুরী এবং জাদুবাস্তবতার সমন্বয়ে তুলে ধরেন পাঠকের আঙিনায়। যেকোনো গল্প অথবা উপন্যাস যদি পাঠককে টানে তবে তিনি শেষপর্যন্ত গিয়ে পুরো স্বাদ নিয়েই থামেন। তারপরও যেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ। এমন অতৃপ্তি থেকেই যায়। আর লেখনির মাধ্যমে পাঠককে তার লেখার শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াটাই একজন লেখকের সার্থকতা। স্বনামধন্য কবি ও কথাকার মোহাম্মদ জোবায়ের এর ‘শ্বেত পাথরের কান্না প্রথম উপন্যাস হলেও তিনি যে একজন জীবনশিল্পী তার স্বাক্ষর দেখা যায় উপন্যাসের পরতে পরতে। সমাজবাস্তবতার নিরিখে একটি শৈল্পিক চিত্রায়ন ‘শ্বেত পাথরের কান্না। এ যেন আমাদের সমাজের নিত্যদিনের অব্যক্ত বেদনার কান্না। অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ লেখকের এই উপন্যাস একজন কিশোরের সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, বাঁধা-বিপত্তিতে বেড়ে ওঠা এবং সর্বোপরি মনের মনিকোঠায় লালিত ভালোবাসার কথামালা । এক জীবনে আমরা কতো কিছু হতে চাই। কতো স্বপ্ন । কতো কল্পনা। সবাই কি তার স্বপ্নের সফলতা পায়? কেউ পায়। কেউ পায় না। আবার কেউ স্বপ্নাতীত কিছু পেয়ে যায়। এবং এক সময় পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব না চুকিয়েই আমাদের চলে যেতে হয়। এটি নির্মম। এটি বাস্তবতা। ঔপন্যাসিক মোহাম্মদ জোবায়ের এর 'শ্বেত পাথরের কান্না' পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস । মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কথাসাহিত্যিক, সম্পাদক-গল্পকার।