অরিশ এক বাঙালি প্রতিভাবান যুবক। ভাস্কর্যশিল্পের উপর পড়াশুনা ও উচ্চতর ডিগ্রী নিতে সুদূর ইতালির রোমে ফাইন আর্টস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। শেষবর্ষে সে ইতালির নেপলস্ শহরের এক ভ্রমণকারী দলের সাথে শহর থেকে পাঁচ মাইল দূরে প্রাচীন শহর হারকুলেনিয়ামের একটি পুরানো ক্যাসেলে সংরক্ষিত অসংখ্য ভাস্কর্যমূর্তি দেখতে যায়। ক্যাসেলে থাকা ভাস্কর্যমূর্তি দেখতে দেখতে বিস্ময়ে তন্ময় হয়ে সে এক সময় ক্যাসেলের রুদ্ধ কক্ষে পৌঁছে যায়। সেখানে সে দেখতে পায় প্রাচীন গ্রীসের অসাধারণ সুন্দরী ও রূপবতী স্বর্গের এক দেবীর ভাস্কর্য। নিজের মনের অজান্তে তাকে স্পর্শ করতেই ধীরে ধীরে জীবন্ত হয়ে ওঠে সেই রহস্যময়ী দেবী। এরপর একের পর এক ঘটতে থাকে নানা ভৌতিক কাণ্ড-কারখানা। ঘরে আটকা পড়া অরিশ রাতের পর রাত ধরে দেবীর সাথে আলাপচারিতায় এক সময় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে এক নিবীড় সম্পর্ক। অরিশ সেই ভাস্কর্যমূর্তির অন্তরালে থাকা দেবীর প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু কীভাবে এবং শেষ পর্যন্ত কী ঘটলো প্রতিভাবান ভাস্কর্যশিল্পী অরিশের জীবনে তা জানতে আপনাকে যেতে হবে এই কাহিনীর অন্তরালে। বইটি কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে যাবে রহস্যেঘেরা ও রোমাঞ্চে ভরপুর এক বিস্ময়কর প্রেম কাহিনীর ঘটনাপ্রবাহে। এই উপন্যাসের কাহিনী পরম্পরায় উঠে এসেছে প্রাচীন গ্রীস ও রোমের অনেক দেবদেবীর মনোরঞ্জক উপখ্যান যা এই কাহিনীকে আরো শক্তিশালী করেছে।