তোমরা দুই বোন যখন অর্থনৈতিকভাবে সফল হবে, এই সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে তখন আমার এই ঋণ শোধ করবে। এই সমাজের মরিয়মদের খুঁজে বের করে তাদের পাশে দাঁড়াবে। (গল্প-১: ঋণশোধ ) ওবেসিটি থাকতো, তবু বেঁচে তো থাকতো আমার ছেলেটা। মানুষ না হয় বছরের পর বছর ওকে নিয়ে হাসাহাসি করতো, তবু আমাদের সন্তান তো বেঁচে থাকতো পারুল। ২১টা বছর তো সে ওবেসিটি নিয়েই সুস্থভাবে বেঁচেছিলো। (গল্প-২: বডি শেমিং) এই জীবনে একটাই সুযোগ থাকে নিজেকে প্রমাণ করার- তুমি যোগ্য নাকি অযোগ্য সময় বলে দিবে। অনেক ঝঝড়ঝাপ্টা আসবে তোমাকে তুচ্ছ প্রমাণ করে উড়িয়ে দেবার জন্য, তুমি সব বাঁধাবিঘ্ন সামাল দিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। এই বেঁচে থাকা তোমার নিজের জন্য, এই পৃথিবীর কল্যানের জন্য। অন্যের কোন অন্যায় আর অপরাধের বলি কেন হবে তুমি? (গল্প-৩: বেঁচে থাকার একটি মন্ত্র)ফ্লাটের দরজার তালা খুলতে ব্যস্ত প্রজ্ঞা আর পরশের চোখ মোবাইলের জীনে। প্রতিদিনেরই ঘটনা এটা। আজ হঠাৎই সাড়ে চারতলায় পৌঁছাতেই স্কুলের ব্যাগের ফিতা জড়িয়ে যায় আরহামের পায়ে। ভারসাম্য না রাখতে পেরে হুমড়ি খেয়ে পরে যায় আরহাম সাড়ে চার তলার সিঁড়িঘরের কাঁচের দেয়ালে। (গল্প-৪: অকস্মাৎ ) বিদায়ের সময় আমি কি তোমাকে হাগ করতে পারি? : সরি রিচার্ড। আমি মুসলিম। আমি হাগ করতে পারবো না। : কোন ছেলেকে তোমরা মুসলিম মেয়েরা হাগ করো না? : মুসলিম মেয়েরা শুধুমাত্র তার হাজব্যন্ডকে হাগ করে। : আমি যদি তোমার হাজব্যন্ড হই, তুমি আমাকে হাগ করবে? (গল্প-৫: নিশার দিনরাত্রি) প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় হলের দাদুরা ঘন্টি পিটাতো আর ঘন্টি বাজানোর সাথে সাথে একে একে গেটের বাইরে অবস্থানরত মেয়েরা হলগেট দিয়ে হলে প্রবেশ করতো জাতীয় দৈনিকে সান্ধ্য আইন বাতিলের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কার্টুন ছাপা হলো- খাঁচার ভিতরের মুরগী খাবার জন্য রাতের অন্ধকারে ওঁত পেতে রয়েছে ক্ষুধার্ত শিয়াল (গল্প-৬: সূর্যাস্ত আইন বাতিলের আন্দোলনের গল্প) বাদাম গাছের নীচ থেকে কে যেন নাজুকে দুইবার ডাকলো। বাদাম তলায় গিয়ে নাজু দেখলো কেউ নাই। তার গায়ে একটা গরম বাতাসের হলকা লাগলো। দূর থেকে বাড়ির সবাই দেখলো যে নাজু বাতাসে ভাসছে। এরপর নাজু অস্বাভাবিক বেগে দৌড়ে উড়ে এসে ঘরের দুয়ারেই অজ্ঞান হয়ে পড়লো। (গল্প-৭: বদজ্বীনের আছর) শহীদ জায়া পারুল আর শহীদ সন্তানেরা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আর তাঁদের সন্তানেরা এভাবেই স্বার্থের জলাগুলি দেয়, তাদের ত্যাগে আর মহিমায় ভাস্বর হয়ে ওঠে আজকের বাংলাদেশ। (গল্প-৮: পারুল একটি ফুলের নাম) দিব্যা ভারতী যেদিন পরপারে পাড়ি জমালো সেইদিন থেকে টানা তিনদিনের শোক পালন করলো ইফতেখার। প্রতিজ্ঞা করলো, দিব্যা ভারতীর মতো দেখতে যে কন্যা, তাকেই বিয়ে করবে, নয়তো নয়। (গল্প-৯: মৃত্যুঞ্জয়ী-একটি সত্যপ্রেমের গল্প)