বাংলার রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগমন না হলে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আজো হতো কি না তা সন্দেহ আছে। কেননা ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশদের কূটকৌশলে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তিমত হয়। ব্রিটিশ শাসনের ১৯০ বছরেও তা ফিরে পাওয়া যায়নি। এই সময় বাঙালির রাজনীতির ভাগ্যাকাশে ধূমকেতুর মতো বিস্ময় নিয়ে আগমন ঘটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি গড়ে তুলে দুর্বার আন্দোলন। ফলে উর্দুভাষী পাকিস্তান সরকার স্বাধীনতা আমাদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস এবং অনুভূতি। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, ততদিন সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনিই শিখিয়েছেন কীভাবে বুক উচু করে বাঁচতে হয়, কীভাবে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। আজকে যারা কিশোর তারা আমাদের মহান জাতির জনক সম্পর্কে বলতে গেলে তেমন কিছুই জানে না। কারণ বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার পরিকল্পিত চক্রান্ত চলে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কীভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মানচিত্র রচিত হয়েছে, কীভাবে তিনি দেশের জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত ঢেলে দিয়ে গেছেন তাঁর এই বিশাল কর্মবহুল জীবন সম্পর্কে শিশু কিশোররা এই বই পড়ে কিছুটা হলেও জানতে পারবে। আর সেটাই লেখক আছিফ রহমান শাহীনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। লেখক চেষ্টা করেছেন বঙ্গবন্ধুর আলোকিতময় বর্ণাঢ্য জীবন সহজ ও সরল ভাষায় শিশু-কিশোরদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার। বইটি পড়ে আগামী প্রজন্ম নিজেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে এই প্রত্যাশা রইল। আকাশ ইকবাল সাংবাদিক ও গবেষক