নীলকণ্ঠের গহীন চিৎকার
ধরিত্রী দহনের ভব লীলা তার,
আমি নীলকণ্ঠের গহীন চিৎকার।
মিছে মায়ায় বেঁধেছি জীবন সংসার।
শব্দের সখ্যতায় পাষাণ বেদীতে অনুভূতি অঙ্গার।
কালো চোখে নীল নদের বাঁধ ভেঙেছে জোয়ার।
অসীম সাহসে পাথুরে আঘাতে বিধ্বস্ত বিবেকের ধিক্কার।
মানব দেহে মিথ্যের প্ররোচনায়
ভাস্কর্য নিরব দাবিদার।
বিরহী তাণ্ডবে কলবে কলবে
বক্ষ পিঞ্জরে সুনামী করে ছারখার।
প্রশ্ন প্রদর্শন করে, উত্তর দিতে নাহি পারি আমি কে বা কার?
জাহান্নামী পয়দায় বাউণ্ডুলে কায়দায় অহর্নিশ চলছি বারংবার।
এত পাপের কলুষিত অনুতাপে
বিধির নিদানে কী কহিবো পরপার?
বক্ষ যুগল হইয়া অচল মগজের কোষে করে তাবেদার।
কালো থেকে নীল, পদে পদে গরমিল
দিশাহারা পথিকের চিন্তায় অবতার।
আমি প্রকাশ্যে করি না মুখোশের স্বয়ং ব্যবহার।
আমি ধূমকেতুর নক্ষত্র রাজি, তিক্ত তল্লাটে করি কারসাজি
ফাঁসির আসামির মতো নীলকণ্ঠের গহীন চিৎকার।
চুপি চুপি চোখের ঝর্নার পাড়ে
স্নান করি অন্তর্দ্বন্দ্বে বিদেহী আত্মার।
যাপিত জীবনের কত কষ্ট মনের,
মূর্তির মত চেয়ে চেয়ে সময় গেল সৃষ্টিকর্তার।
নাহি জুটিল এপার আমার,
নাহি জুটিল তোমার ওপার।
সব পারেই একলা কাঁদে
অভিশপ্ত বাহকের নীলকণ্ঠের গহীন চিৎকার।