‘বঙ্গবন্ধু মানেই মুক্ত হাওয়া, পূর্ব দিগন্তের ধ্রুবতারা, আদর্শ বিগ্রহে রাজপথে সম্মান ও মর্যাদায় দিনক্ষণহীন দিগন্ত ছোঁয়া গভীর ভালোবাসা।’ বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে মহাত্মাগান্ধি, জামাল নাসের, পেট্রিস লুমুম্বা, ফিদেল কাস্ত্রো, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি নিজের বুকের রক্ত ও পরিবার পরিজনের রক্তে বাংলার নতুন ইতিহাস রেখে গেছেন চির নতুন প্রজন্মের জন্যে। তাই তো বঙ্গবন্ধু জাতীয় পতাকার রক্তসূর্যের অংশ। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু নাম দুটি একই সূত্রে গাঁথা, বাংলার সভ্যতা সংস্কৃতি ভাষা ও সাহিত্যে তিনি চির জাগ্রত সত্ত্বা। পাখির কুজন, নদীর কলতান, ভোরের শিশির, ভাটিয়ালির সুর, শরৎ, চৈত্রে, বিরহ-বিগ্রহে, প্রেম-ভালোবাসা, সংগ্রাম-দ্রোহে, তিনি প্রেরণার নবদিগন্তের উৎসরণ। মুজিববর্ষে সশ্রদ্ধচিত্তে কিছু কথা পাঠকের কাছে তুলে ধরতে পারায় মনের ভার কিছুটা হালকা বোধ করছি। একদিন রাজপথে যৌবন বিহঙ্গে ঝংকার তোলার সারথি বন্ধুবর আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম কয়ছর ও শিক্ষানুরাগী মোঃ আরজান খান জাপানসহ অগণিত ভক্তকুলের আগ্রহ পরামর্শ ও অনুপ্রেরণার জন্য তাদের প্রতি রইল মুজিবীয় শুভেচ্ছা। আদর্শহীন স্বার্থঘেরা সমাজ ব্যবস্থায় জাতির পিতার সুমহান আদর্শ ধারণ ও মেধা মননে অতঃপর মহামানব আসেন গ্রন্থটি নতুন প্রজন্মের কাছে অনন্য দলিল হিসেবে চিত্রিত হলে শ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি।