এই বই রচনায় সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা ও সাহস জুগিয়েছে গবেষক বদরুদ্দীন উমর রচিত ভাষা আন্দোলনের উপর বেশ কয়েকটি বই এবং গবেষক বশীর আল হেলালের ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’। এছাড়া বাংলা একাডেমি প্রকাশিত কয়েকটি বইয়েরও সাহায্য পেয়েছি। বাংলা একাডেমি প্রকাশিত কিছু স্মৃতিকথার সাহায্য পেলে আরও উপকার হতো, তবে তা বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগারেও সংরক্ষিত নাই। এই বইগুলি থেকে আমি প্রচুর তথ্য আহরণ করেছি। তবে আমার বইয়ের জন্য তথ্য সংগ্রহের মূল উৎস হচ্ছে তৎকালীন দৈনিক পত্রিকাসমূহ। আমি ঢাকা ও কলকাতার বেশ কয়েকটি গ্রন্থাগার ও অভিলেখাগার থেকে সে সময়ের দৈনিক আজাদ, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা, দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা, দৈনিক ডন ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম পর্বের ভাষা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট প্রায় সকল সংবাদ সংগ্রহ করি। এ সমস্ত মৌলিক তথ্যের পাশাপাশি আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টদের স্মৃতিকথা থেকেও তথ্য সংকলিত করেছি। তবে এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক হবে যে তখনকার দৈনিক পত্রিকার ধারা অনুযায়ী, সংবাদের কলেবর খুব সংক্ষিপ্ত হতো, ফলে সব তথ্য পাওয়া যেতনা। কয়েকটি দৈনিকের সংবাদ একত্র করে বিভিন্ন ঘটনার পূর্ণতা আনার চেষ্টা করেছি।
মুহাম্মদ লুফুল হক জন্ম ১৯৫৫, দিনাজপুরে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে। কমিশন পান। ২০০৫ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসর নেন। বাঙালির সামরিক ইতিহাস এবং স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে। গবেষণা করছেন। প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ : স্বাধীনতাযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব। ' (২০০৬), বাঙালি পল্টন: ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি রেজিমেন্ট(২০১২)। সম্পাদনা : রাজশাহী ১৯৭১ (যৌথ, ' ২০১২), কামালপুর ১৯৭১ (২০১২),। মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স (২০১৩), দিনাজপুর ১৯৭১ (২০১৩)।