সুমন, কী লিখছ এসব! প্রাচীনের মতন প্রশস্ত! কী ছিপছিপে সত্য! কোনো কবিতাভিনয় নেই, অথচ কত্ত গাঢ় কবিতা! তোমার কবিতার গভীরতা এখন পাতালচুম্বী। পাতালেই কিন্তু আছে সব খনি। কবিতায় ঠাণ্ডা গলায় যেভাবে খনির সন্ধান দিয়ে যাচ্ছ, তা হাজার বছর ধরে চলমান থাকবে বলে মনে হচ্ছে। আজকের সুমন অনেক পরিণত, অনেক গভীর। ছন্দে লেখা কবিতাগুলো যেমন ভালো লাগে, তেমন এই কবিতাগুলোও। আমি রাইটিং-অ্যাজ-অ্যাকশনে বিশ্বাসী। তোমার লেখাগুলো পড়ে তেমনই মনে হয়। যে কথা কষ নিয়ে বললে শুনবে না মানুষ, সে কথা তুমি রস দিয়ে জানাচ্ছ। ইদানিং তোমার কবিতাকে কবিতার থেকেও বড় কিছু মনে হয়। তোমার কবিতাগুলোর ন্যারেটিভ ছন্দে ছন্দে দ্বন্দ্বের অবসান। অবলীলায় বলে ফেলা, যা সহজে বলে ফেলা যায় না। কবিতাগুলোয় বানোয়াট দুর্বোধ্যতা নেই। তবে যারা সহজ কথা সহজে বলতে জানে নাÑ যাদের সত্যপ্রকাশ করার পুরো ব্যাপারটাকেই দুর্বোধ্য মনে হয়, তাদের জন্য তোমার শব্দগুলো এক একটা সুড়ঙ্গ; বাস্তবতায় দৃশ্যমান কিন্তু দেখা যায় না এমন গভীরতায় নিয়ে যাবার সুড়ঙ্গ। আমি অবাক হচ্ছি না একটুও। যারা পারে তাদেরকে দমিয়ে রাখার চক্রান্ত সবজায়গায়। আমিও হারিয়েছিলাম নিজেকে। অবশ্য অন্য কারণে। এখন সত্য ছাড়া কাউকে দুচি না। তোমার কবিতায় শক্তি খুঁজে পাই। একটা ধাক্কা দেয়। বাস্তবতার কাছে নিয়ে যায়। প্রশংসা খুব খারাপ জিনিস। না পেলে নিজেকে অকেজো মনে হতে পারে। কারো ফালতু কথা বা সাইলেন্স যেমন শোনার দরকার নাই, তেমনি সুনামও শোনার দরকার নাই। কারণ সমালোচনা বা সুনামের জন্য কবিতা কে কবে লিখেছে? হিশাম মোহাম্মদ নাজের কবি, গল্পকার ও সমালোচক