তাঁর চিন্তা ভাবনা সব সময়ই ভিন্ন। কাছে গেলে নিজেকে শাণিত করা যায়। মানুষটা পূর্ণিমা রাতে পাগলের মতো হয়ে যায়। উদ্ভট সব কথা বলে। তাঁর জানার পরিসর অনেক বড়। অথচ কলমের কালিতে তিনি কিছুই লেখেননি। নান্টুর মনে হয় তিনি যেন সক্রেটিস। সক্রেটিস শুধু গ্রিসে জন্মায় না বাংলায়ও জন্ম নেয়। ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও চলচ্চিত্র কোনো কিছুই তার জানার গণ্ডির বাইরে নেই। এক গল্পকারের গল্প ছাপানো নিয়ে সক্রেটিস ও রব্বানি ভাইয়ের জীবনে নেমে আসা রোমহর্ষক কাহিনি সক্রেটিস তার সঙ্গী নান্টুকে ধবল পূর্ণিমায় বর্ণনা করে। তাঁর রসবোধ অতুলনীয়। চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাস নান্টুকে অনুপ্রাণিত করে। উপন্যাস ও কবিতার সম্ভাবনা নিয়ে তার রম্য কথাগুলো নান্টুর এতই ভালো লেগে যায় যে, সে সক্রেটিসকে বই লিখতে তাড়া দেয়। সক্রেটিস রাজি হয় আবার হয় না। তবে সক্রেটিস আশাবাদী। তিনি কিছু একটা করবেন। শিষ্য নান্টু তার কাছ থেকে এত কিছু আশা করছে, সেই আশা তিনি ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চান না। তবে সক্রেটিস যা করবে তা খুব পরিকল্পনা করে, কিন্তু তা আগেই নান্টুকে বলে দিয়ে আনন্দ নষ্ট করতে চান না। নান্টুও আরেক আশাবাদী। শিষ্য গুরুর চেয়ে এগিয়ে থাকে বলেই সেও সক্রেটিসকে না জানিয়ে কিছু করে দেখাবে। সক্রেটিসকে আনন্দে ভাসিয়ে দেবে।