কবির মনোভূমির চর্চিত ফসল কবিতা। জীবন, জগত ও প্রকৃতির নিগূঢ় তত্ত্ব, ইতিহাস লৌকিক ভাব চিত্রকল্প দৃশ্য রূপক উপমা ছন্দ তালে কিংবা মুক্ত ছন্দে বহুরূপে বহুভাবে প্রতিভাত হয় কবিতায়। ভালোবাসার নির্মল প্রশান্তি, প্রেমে রহস্য দ্বন্দ্ব-সংঘাত, ব্যক্তির মধ্যে সামষ্টিক রূপ প্রকাশভঙ্গির নিখুঁত রসায়ন কবিতাকে কালোত্তীর্ণ করে তুলতে পারে।
সভ্যতার বিকাশে কবির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কালে কালে পরাবাস্তব জগতে মাঠে প্রান্তে, হাওয়ায় ফুলে ফুলে, প্রেমাস্পদের হৃদয় মনে, প্রাণ থেকে প্রাণে লুকোচুরি খেলে কবি হৃদয়। রূপ রস গন্ধ ভাবের সাগরে ডুব দিয়ে কুড়িয়ে নেয় হীরা মুক্তা পান্না চুনি নীলকান্তমণি।
ধ্রুপদী কবিতার গুণগত মান বিচারে তাঁর কবিতার অবয়ব ভাব কল্পনা ও প্রকাশভঙ্গি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, অনন্য উচ্চতায় সমাসীন। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনুভূতির ভাবালুতা কবিতার একটি বিশিষ্ট দিক। জাগতিক জৈবিক প্রেমের অনুভূতির মধ্যে অতি সূহ্ম প্লেটোনিক অনুভূতির মৃদু ছোঁয়া মানবিক সত্তাকে জাগিয়ে তুলে।
স্নেহাস্পদ লেখক কবির কবিতায় মানুষ, জীবজগত ও প্রকৃতির অন্তর্নিহিত ভাব চিন্তা ভাবনার মিথস্ক্রিয়া সুকুমার বৃত্তি অত্যন্ত সুন্দর ভাষায় কাব্যিক ব্যঞ্জনায় সাবলিলভাবে ফুঠে উঠেছে। তাঁর কবিতাগুলোতে নানা স্বাদের সন্ধান পাবেন পাঠক। তাই অন্তলীন ভাবনা কাব্যগ্রন্থটি পাঠক মহলে সমাদৃত হবে এই প্রত্যাশা।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ