বিগত ২৩—২৪ সেপ্টেম্বর বিহারের মুগ্ধ ইউনিভার্সিটিতে ইন্সটিটিউট অব অবজেকটটিভ স্ট্যাডিজ দিল্লী এবং আয়োজক ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তঃধমীর্য় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওই সেমিনারে হিন্দু, আর্যসমাজ, জৈন, বৌদ্ধ, খৃষ্ট এবং চৈনিক ধর্মসমূহের প্রতিনিধিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ধর্মের আত্মপরিচয় তুলে ধরেন। ধমীর্য় পরিমণ্ডলে মানবীয় মর্যাদা ও অবস্থানের ব্যাপারে তারা খোলামেলা কথা বলেন। সেই সাথে বিভিন্ন ধর্মের মাঝে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহানুভূতির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও তারা আলোচনা করেন। ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান মুহতারাম ড. মানজুর আলম এই অধমের কাছে আবেদন জানান, আমি যেন সেমিনারে ইসলামের পরিচয় তুলে ধরি। সেই উপলক্ষেই এই রচনাটুকু তৈরি করা হয়েছে। এতে পাঁচটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। ১. আলোচনা হবে সংক্ষিপ্ত, সহজ ও সাবলীল। ২. প্রতিটি কথা কুরআন, হাদীস এবং নববী আদর্শের আলোকে পেশ করা হবে। শেষে এর উদ্ধৃতিও উল্লেখ থাকবে। ৩. পরিচয় দানের ভঙ্গিমায় নিজের দৃষ্টিভঙ্গি আলোচিত হবে। তাতে অন্য কোনো ধর্মের সমালোচনা থাকবে না। ৪. ধর্মের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে স্বদেশী অনেক ভাই—বন্ধুদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি আছে। পরিচয় দিতে গিয়ে ইতিবাচকভাবে সেই সব বিষয়ও ক্লিয়ার করা হবে। ৫. কথাগুলো তুলে ধরতে গিয়ে প্রয়োজন অনুপাতে যুক্তির মাধ্যমেও আস্থা তৈরির চেষ্টা করতে হবে। এই সংক্ষিপ্ত রচনাটুকু স্বদেশী ভাইদের কাছে ইসলামকে পরিচিত করতে সহায়ক ও সহযোগী হোক, এই আমার প্রত্যাশা। মহান আল্লাহর কৃপায় যদি এমনটা হয়েই যায় তাহলে ডক্টর সাহেব সাওয়াব প্রাপ্তি সমান ভাগীদার হবেন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সকলের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। আর আমাদের ছেঁড়াফাটা প্রচেষ্টাগুলো আপনার অপার দয়া ও কৃপায় কবুল ফরমান। খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী বায়তুল হামদ, কুবা কলোনী, শাহীন নগর হায়দারাবাদ, তেলেঙ্গানা। ২ মুহাররম, ১৪৩৮ হিজরী। ৪ অক্টোবর, ২০১৬ খৃষ্টাব্দ।
বিদগ্ধ ফকিহ, বহু গ্রন্থের লেখক এবং ইসলামি জ্ঞানের নানা শাখায় তাঁর গর্বিত বিচরণ। অল ইন্ডিয়া ইসলামি ল বোর্ড এবং ইসলামিক ফিকাহ একাডেমি ইন্ডিয়ার জেনারেল সেক্রেটারি। তার পারিবারিক নাম নুর খোরশেদ। খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানী তার পরিচিত নাম। তিনি বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলায় ১৯৫৬ সনে জন্মগ্রহণ করেন। ফিকহি প্রজ্ঞার গভীরতা, ইসলামি চেতনার স্বাক্ষরতা, ফিকহের অভিধানতত্ত্বের বিজ্ঞতা এবং নতুন নতুন জিজ্ঞাসার ফিকহি সমাধান তার অনন্ত জ্ঞানের উজ্জ্বল উপমা৷ ফিকহি আলোচনা ও মতামতে তঁর অভিমত নিরঙ্কুশ ভারসাম্যপূর্ণ। তিনি মোঙ্গেরের জামেয়া রহমানিয়া থেকে স্নাতক করেন৷ পরে দারুল উলুম দেওবন্দে আবারো স্নাতক করেন৷ পাটনার ইমারতে শরইয়াহ থেকে ইফতা ও বিচারিক প্রশিক্ষণ নেন৷ দারুল উলুম সাবিলুস সালামে তিনি দীর্ঘ বাইশ বছর শিক্ষকতা করেন। তার রচিত গ্রন্থ ও প্রবন্ধের সংখ্যা অনেক। সবগুলো এখনো মুদ্রিত হয়নি। তবে বাংলায় অনূদিত হয়েছে কয়েকটি মাত্র। যেমন মানবতার নবী, হালাল-হারাম।