উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রা: এর জীবন ও কর্ম: এই পতনের যুগে মুসলিম জাতির অধ:পতনের যতগুলো কারণ আছে তার অর্ধেকই নারী।ঘরে ঘরে প্রবৃত্তিপূজা,জড়পূজা-মরপূজা,ইসলামবিরোধী রসম-রেওয়াজ,শোকও আনন্দের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ব্যাপক অপচয় ইত্যাদি। এছাড়াও বর্বরযুগীয় কার্যকলাপ আমাদের সমাজ-সংসারে প্রচলিত রয়েছে কেবল এ কারণে যে,মুসলিম মা-বোনদের মন থেকে ইসলামি শিক্ষা-দীক্ষা ও মূল্যবোধ বিদান নিয়েছে।এর কারণ সম্ভবত এটাই যে,কোনো মুসলিম মহীয়সীর পূনাঙ্গ জীবনাদর্শ তাদের সামনে নেই।কাজেই আমাদের এবারের নিবেদন এমন এক মহীয়সীর জীবনাদর্শ,যিনি ছিলেন মহানবীর আদর্শ জীবনের আদর্শসঙ্গিনী; যিনি নবীজীর একান্ত আন্তরিক সাহচর্যে ধন হয়েছেন নয় বছর;যার পথনির্দেশের আলোকবর্তিকা স্বর্ণযুগের রমণীকুলকে আলো ছড়িয়েছে প্রায় চল্লিশবছর ধরে। সিরাতে আয়েশা রা: একজন মুসলিম নারীর জন্য রয়েছে জীবনে সার্বিক দিক-নির্দেশনা ।জীবনের সকল পরিবর্তনওপরিবর্ধন,উ্থান-পতন,উন্নতি-অবনতি,শোক-সুখ,বিবাহ-বিরহ,পিত্রালয়-শ্বশুরালয়,স্বামী-সতীন,সন্তানপালনসহ সংসার-জীবনের হাসিকান্না,বৈধব্য,অপত্যহীনতা,ঘরবাস-পরবাস,রান্নাবান্না,আবেগ-অনুভূতি,অভিমান-অভিরোষ-এককথায় জীবন ও জগতের সর্বক্ষেত্রে,সর্বাসস্থায় আর্দশ অনুসরনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে ভরপুর আয়েশার রা: এর জীবনচরিত্র।আর র্ধম-কর্ম,জ্ঞান-গুণ ও চরিত্রমাধুরীর অনুপমতা তো বলাই বাহুল্য।প্রকৃত প্রস্তাবে.তার পবিত্র জীবন চরিত্র হলো সেই স্বচ্ছ আয়নার অনুরূপ,যাতে ফুটে ওঠে একজন মুসলিম নারীর বাস্তব চরিত্র।
Title
উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রাদিআল্লাহ আনহা এর জীবন ও কর্ম
ভারত-উপমহাদেশে সিরাতচর্চা, ইতিহাস ও আরবিভাষার সাহিত্য নিয়ে যারা গবেষণামূলক কাজ করেছেন, কর্মগুণে হয়েছেন বিশ্ববরেণ্য—সাইয়েদ সুলাইমান নদবি রহ. তাদের সবচেয়ে অগ্রসারির। ১৮৮৪ সালে ব্রিটিশ-ভারতের বিহারের দিসনাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বিশ্ববিখ্যাত নদওয়াতে পড়াশোনা করে সেখানেই দীর্ঘ দিন আরবিভাষার পাঠদান করেন এই প্রাজ্ঞ প্রতিভাধর; পাশাপাশি ছিলেন আন-নদওয়া আরবি পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক। কর্মজীবনে শিক্ষকতা ও সম্পাদনার পাশাপাশি লিখেছেন অসংখ্য কালজয়ী গ্রন্থ, প্রদান করেছেন পৃথিবীখ্যাত সিরাত-বিষয়ক ভাষণ—খুতুবাতে মাদরাজ নামে যা বিশ্ববিখ্যাত। সিরাতুন নবি (যুগ্ম), সিরাতে আয়েশা, আরদুল কুরআন, খৈয়ামসহ যা-ই তিনি লিখেছেন, সেটিকেই করে তুলেছেন পাঠ-অনিবার্য। এসব আকরগ্রন্থ তাকে এনে দিয়েছে অমরত্বের মর্যাদা। তার লেখা ইতিহাসের পাণ্ডুলিপিগুলো শাস্ত্রীয় সংজ্ঞা পার হয়ে হৃদয়কেও স্পর্শ করে প্রবলভাবে।