আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বলেছেন 'বইয়ের মতো এত বিশ্বস্ত বন্ধু আর নেই।' সৈয়দ মুজতবা আলী ওমর খৈয়ামের কবিতা ভাবানুবাদ করেছিলেন ঠিক এভাবে, 'রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে প্রিয়ার চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা যদি তেমন বই হয়।' ২০২২ এ এসএসসি ৯০ এর প্রায় একশত জন লেখকেের লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল একটি গ্রন্থ যার নাম ' ৯ শূন্যের প্রয়াস'।৯০ এর অদম্য লেখকদের সেই প্রয়াস থেমে থাকেনি। সেই প্রয়াস অব্যাহত রেখে ২০২৩ এর অমর একুশে গ্রন্থমেলায়ও প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ' ৯ শূন্যের প্রয়াস- ২'।এবার মোট ১৩৪ জন লেখকের লেখা স্থান পেয়েছে বইটিতে।একজন লেখকের একটা লেখা যদি মলাটবদ্ধ হয় সেটা সেই লেখকের হৃদয়ে অনন্য এক ভালোলাগার অনুভূতি হয়ে দোলা দেয়।' ৯ শূন্যের প্রয়াস' এর এই ধারাবাহিকতা লেখকদের পিঠ চাপড়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করছে।এ ধরণের উদ্যোগ বাংলাসাহিত্যের অগ্রযাত্রায় বেশ ভালো ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।৯০ এর মহতী উদ্যোগে আমিও ৯০ এর এসএসসি ব্যাচের ছাত্র হওয়ার সুবাদে সামিল হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।বইটিতে কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা প্রভৃতি পাঠককে আলোড়িত করবে।একই মলাটের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে পাঠক।বইটি যদি সবশ্রেণীর পাঠকের হাতে পৌঁছে যায় তাহলে অন্যান্য ব্যাচের লেখকরাও উদ্বুদ্ধ হবে এরকম বিনির্মাণে যার ফলে বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল যিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সফলতার চাবিকাঠি কী? তিনি উত্তর দিয়েছেন প্রতিদিন পাঁচশ পৃষ্ঠা বই পড়ো। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন- 'জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই' ১৯৯০ সনের বন্ধুরা উপলব্ধি করতে পেরেছে সেই সত্যটা।তাইতো বই প্রকাশের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীতেও সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকবে সেটাই প্রত্যাশা।