প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ নূরুল হকের ভাষায়, কবিকে ‘শনাক্ত করতে হয়, সমাজের অসুখ, অবক্ষয় ও সম্ভাবনার সূত্রগুলো। তার আবিষ্কৃত সূত্রগুলোর আলোকেই তাকে বাস্তবতার চিত্র আঁকতে হয়, লিখতে হয় স্বপ্নের কথাও। তাকেই ঠিক করতে হয়, প্রচলিত সমাজবাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে, তিনি কী ধরনের সমাজ সৃষ্টি করতে চান, তা-ও। কেবল সমাজে সংঘটিত ঘটনাবলির চিত্র শিল্পী আঁকেন না, সমাজকে কিভাবে কল্পনা করেন, তা-ও তাঁকে দেখিয়ে দিতে হয়। কবি ধীমান তাঁর ' মনোবাঞ্ছা " কাব্যগ্রন্থে প্রতিটি কবিতায় সুস্থ, সুন্দর সমাজের সন্ধানে করেছেন। এই সমাজের অসুখ অবক্ষয় গুলো দূরীভূত হোক এটাই কবির মনোবাঞ্ছা।নীচের কয়েকটি পংক্তি পড়লেই পাঠকের কাছে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অশুভ বর্জনে শুভ অর্জনে শুভ হালখাতায় নব-রবি-কিরণে শুভকামনায় স্বপ্নিল আগামীর প্রত্যাশায় স্বাগত হে বৈশাখ! শুভ নববর্ষ!! ( শুভাশুভ বর্ষ) শীত-ক্লান্ত মহিতে ওগো বসন্তের বাসন্তী স্বাগতম! আকুল প্রাণে ব্যাকুল মিনতি। আমি মুগ্ধ ভ্রুমর সিক্ত মনে আরাধনা করি ঐ বাসন্তীর বসন্ত থাকুক যুগ যুগ ধরি। ( বসন্তের বাসন্তী) আজি, শতবর্ষ পরে, প্রাণের আকুতি মোদের আর্তচিৎকারে স্মরি অবিসম্বাদিত নেতা, জাতির পিতা তুমি আবার শুনাইতে যদি বজ্রকণ্ঠে ঐ দৃঢ় তর্জনীর মোহময় ভঙ্গিমায় আর একটি মহান বাণী- "এবারের সংগ্রাম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে নৈতিকতার সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম, দুরবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম!" তোমার অর্জিত সোনার বাংলাদেশ, শির উন্নত জাতি, তোমার তনয়াদ্বয় আর পরিজনসহ আমরা ভালো থাকিতাম! ( শতবর্ষে জাতির পিতা) অনেক অনেক শুভকামনা কবির জন্যে।