পরম করুণাময় আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহু তায়ালার নামে শুরু করছি। মুসলিম সম্প্রদায়ের জীবন যাপনের নিয়ম নীতি অধিকাংশ পরিচালিত হয় ইসলামি আইন ও পদ্ধতি অনুসারে। কালের আবর্তনে এই আইন ও পদ্ধতি অনেক পরিবর্তন ও সংস্কার হয়েছে। কিন্তু সাথে সাথে অনেক কুসংস্কার ও মতবিরোধ ঢুকে পড়েছে সমাজে। যেমন : হিল্লাহ বিবাহ। এটাকে অনেকেই একটি কুসংস্কার মনে করে। অনুরূপভাবে, জাতির পিতা নিয়েও অনেক মতবিরোধ দেখা যায়। অনেকে বলেন, হজরত ইব্রাহিম (আ.)-ই আমাদের মুসলিম জাতির পিতা। কাজেই মুসলিম জাতি অপর কাউকে জাতির পিতা বলতে পারে না। অনুরূপভাবে বহুবিবাহ, নারী-পুরুষের সমান অধিকার ইত্যাদি অনেক বিষয়ে সমাজে নানারূপ মতবিরোধ আছে। এই সমস্ত বিষয়গুলো সামনে রেখে তথ্যবহুল আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি বইটি পড়েন তবে অনেক কিছুই জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। গ্রন্থটি মূলত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সমাহার। মানুষের জন্য জ্ঞান অর্জন আল্লাহ্ তায়ালা ফরজ করে দিয়েছেন। প্রথম নাযিল হওয়া আয়াতটিই হলো সুরা আলাক এর ‘পড়’ তোমার প্রভুর নামে। কাজেই আমাদেরকে পড়তে হবে। ইসলামের সঠিক বিধান জানতে হবে। মুসলিম জীবন প্রবাহ ইসলামি আইন ও রীতিনীতির উপর নির্ভারশীল। তাই ইসলামের সঠিক আইন জানা প্রতিটি মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য। অজ্ঞতা নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ইসলামের আইন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেই চারিদিকে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। এ প্রবন্ধগুলো রচনার সময় যারা আমাকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, যিনি আমার ছোট ভাইয়ের মতো, ডঃ মুহাম্মদ জুলফিকার আলী ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি ১৯৯৭ সালে আমাকে একটি ‘আল্-কোরআনের অভিধান’ বই উপহার দিয়েছিলেন। তখন আমি শিক্ষা ভবনে শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। বহু বছর পর বইটি আমার অনেক কাজে লেগেছে। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার লেখার কাজে যারা আমাকে সব সময় সাহায্য ও উৎসাহ যুগিয়ে থাকেন, যেমন আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ নিকটাত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব সবাইকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বইটি প্রকাশের কাজে আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন, বিশেষ করে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সাংবাদিক, আমার স্নেহময় জনাব আল আমিন হোসেনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বইটির প্রকাশক, ইতিহাস প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী, জনাব আমজাদ হোসেন খান, (জামাল) সাহেবকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি আগ্রহ সহকারে আমার বইটি প্রকাশ করেছেন। আল্হামদুলিল্লাহ্। প্রফেসর খোদেজা খাতুন