২০১৯ সালের শেষের দিকে বিশ^ব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রমণে দেশে দেশে অর্থনীতি তার স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কোভিড-১৯ প্রভাবে বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়। সরকার নানাভাবে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাকাকে চালু রাখার চেষ্টা করেন। গরীব মেহনতি মানুষের জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাতও সরকার প্রসারিত করেন। করোনা কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ২০২১ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ^ অর্থনীতিতে করোনার চেয়ে আরও ভয়ানক আঘাত হানে। যা এখনও চলমান। আমাদের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হোঁচট খায়। রফতানি মূল্য হ্রাস পেতে থাকে। রফতানি ঋণপত্রের সংখ্যাও কমতে থাকে। তৈরি পোশাক শিল্পের গতি কমে যাওয়ায় বস্ত্রখাতের উৎপাদন, বিপণন হ্রাস পেতে থাকে। বিশেষ করে স্পিনিং খাত বড় ধরনের লোকশানে পড়ে। ২০১১ সালে ও বস্ত্রখাতের উন্নতি হয় নাই। কাঁচামাল আমদানি জটিলতা, ডলার সঙ্কট, শিল্পের মেশিন ও যন্ত্রাংশ আমদানীতে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়। উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশের সকল খাতের ঋণাত্মক-সূচকের অবতারণা। ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রেক্ষিত’ গ্রন্থটিতে চারটি অধ্যায় রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের বিভিন্ন সময়ে লেখা নিয়ে আমার এই গ্রন্থ। অধিকাংশ লেখা দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি নিয়ে যারা চিন্তা করেন, তাদের জন্য উল্লিখিত গ্রন্থের প্রবন্ধসমূহ কিছুটা হলেও চিন্তার খোরাক দিলে আমার পরিশ্রম স্বার্থক মনে করবো।
Title
বাংলাদেশের অর্থনীতি : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রেক্ষিত
বহুমাত্রিক ও বিরলপ্রজ লেখক আবুল কাসেম হায়দার। শিক্ষা-বাণিজ্য-সংস্কৃতি বিষয়ে তাঁর কলম দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। জন্ম প্রাকৃতিক শােভামণ্ডিত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে, ১৯৫৪ সালে, উত্তর মগধরা গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা চল্লিশ ছাড়িয়ে গেছে। শিল্পবিশ্লেষক হিসেবে তিনি দেশে-বিদেশে নন্দিত ও বহু পুরস্কারে ভূষিত। এফবিসিসিআই-এর সাবেক সহ-সভাপতি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ইসলামিক ফাইনেন্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটিডে, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ, সেকান্দর সাফিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনরত একজন দেশবরেণ্য আলােক-মানুষ।