সাংবাদিকরা সাধারণত সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি ও অর্থনীতির নানা ক্ষমতাধর নীতিনির্ধারকসহ জনপরিসরে সক্রিয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের চিন্তা ও তৎপরতাকে নিরন্তর প্রশ্ন করে চলেন, কিন্তু নিজেদের চিন্তা ও তৎপরতা সম্পর্কে কদাচিৎ অন্যদের প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়ান ৷ নূরুল কবীর শুধু প্রশ্ন উত্থাপনই করেন না, প্রশ্নের মোকাবিলাও করেন; তাঁর কথকতা দেশের ইতিহাস আর সমসাময়িক রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা ও বুদ্ধিজীবিতাসহ নানা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্যদের নানা অনুসন্ধিৎসু প্রশ্নের সত্যনিষ্ঠ ও সাহসী সদুত্তর-সমৃদ্ধ জনস্বার্থপরায়ণ বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতার এক অনন্য সন্দর্ভ । কথকতায় আমাদের সামষ্টিক জীবনে ঘনীভূত নানা সুগভীর সংকট সম্পর্কে ধীসম্পন্ন চক্ষুষ্মান কবীরের যে চিত্রানুগ পর্যবেক্ষণ ফুটে উঠেছে, সংকটের পেছনে সক্রিয় কার্যকারণ-সম্পর্কগুলো তাঁর অনাবিল বিশ্লেষণে যে স্পষ্টতা নিয়ে মূর্তিমান হয়েছে, আর সংকট উত্তরণে যে মননশীল সামষ্টিক তৎপরতার অপরিহার্য ধারণা তিনি উপস্থাপন করেছেন, তা সৃষ্টিশীল পাঠক-চিন্তাকে নানা গুরুত্বপূর্ণ মাত্রায় উসকে দিয়ে এ দেশে একটি সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণে তৎপর হয়ে উঠতে উদ্বুদ্ধ করবে।