বইটির বিষয়বস্তু হলো বাংলােেদশর স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব ও এর বিকাশ। নেতৃত্ব ও এর বিকাশ বাংলাদেশের সামাজিক মানসিকতার পুরোটা জুড়ে রয়েছে কারণ লোকেরা প্রতিনিয়ত এখানে একটি যোগ্য নেতৃত্বের অধীনে বিদ্যমান অবস্থার একটি ইতিবাচক পরিবর্তন সন্ধান করে চলেছে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বকে নেতৃত্ব বিকাশের পরীক্ষামূলক ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয় যেখানে এটি আক্ষরিক অর্থে চর্চা করা হয়। এই বইটি একটি বিস্তৃত অভিজ্ঞতামূলক গবেষণা কাজ যা এই বিষয়টিকে বিশেষ জোর দিয়েছে। এই অধ্যয়নটি নেতৃত্বের বিদ্যমান কাঠামো, সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গি, বৈশিষ্ট এবং নেতৃত্বের কার্যকরী দিকগুলির পটভ‚মিতে একটি নতুন পদ্ধতির সন্ধান করার চেষ্টা করেছে। ইতোমধ্যে, বিষয়টি নিয়ে লেখক আরও গবেষণা করেছেন এবং একই ইস্যুতে তিনি ইংরেজি ভাষায় ছয়টি বইয়ের একটি সিরিজ লিখেছেন। প্রকাশিত চারটি বইকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্স বই হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কথা হলো তাৎপর্যপূর্ণ ধারাবাহিক উন্নয়ন ছাড়াই বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বের বিকাশের ধারণাটি এই দশকে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এই জনপ্রিয়তা কেবলই রাজনৈতিক মালিকানায়। এই নেতৃত্বকে সর্বব্যাপী কার্যকর করতে যে অপরিহার্য কাঠামো ও কার্য-কৌশলগত প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন সেটি বাইরেই রয়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক রুপ না থাকায় একটি দক্ষ, কার্যকর, স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারব্যবস্থা গড়ে ওঠা বাধাপ্রাপ্ত হয়েই চলেছে। অথচ শর্ত রয়েছে উন্নত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ স্থানীয় সরকার মানেই গোটা দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠা এবং স্থানীয় সেবা ও উন্নয়ন মানেই সমগ্র দেশের সমষ্টিগত সেবার বিস্তৃতি। কারণ স্থানীয় সরকারের চেয়ে পরিসেবা ও সুবিধাপ্রদানকারী এত অপরিহার্য প্রতিষ্ঠানতো স্থানীয় পর্যায়ে আর গড়ে ওঠে নাই। তাই রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকাশমান ধারায় স্থানীয় নেতৃত্বের ধারাকেও উন্নয়নের ছকে আনতে হবে। স্থানীয় সরকার বিষয়ক দুর্বল নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়াটি সক্রিয় ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে।