চাল-চুলোহীন মোবারকের সংসার চলে ঢাকায় টিউশনি করে। থাকেন ধানমণ্ডিতে প্রবাসী মামাতো ভাইয়ের বাড়িতে, বাড়ির পাহাড়াদার হিসেবেই বলা চলে। যেহেতু একতলা বাড়ি, মোবারক ছাড়া কোন ভাড়াটিয়াও নেই। মোবারকের নেশা চিত্রনাট্য লেখা। অনেকগুলো চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালকদের কাছে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কেউই পছন্দ করছে না তার চিত্রনাট্যÑ এ নিয়ে মোবারকের দুঃখের অন্ত নেই। এরই মাঝে নতুন ঝামেলা-- দূর সম্পর্কের খালাতো বোন ইলা। ইলার মা ইলার বাবাকে ডিভোর্স দিয়ে গ্রিসের নাগরিক পল উইলিয়ামকে বিয়ে করেছেন। ইলার বাবার সহায়-সম্পত্তি দখল করে তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলা চলে। এখন ইলার মায়ের আবদার মোবারক যেন ইলার একটা হিল্লে করে দেয়। মানে চিত্রনায়িকা কাম মডেল হিসেবে যেন ইলার ক্যারিয়ার দাঁড় করিয়ে দেয় মোবারক। চলচ্চিত্র জগতের পরিচালক-প্রযোজকদের সাথে মোবারকের যোগাযোগের কথা ইলার মা জানেন। চিত্র জগতে ক্যারিয়ার প্রত্যাশী ইলা, সমাজসেবী ইলার মা আর বেকার যুবক মোবারকের গল্পই মূলত ‘মোবারক মিয়ার চিত্রনাট্য’। এবং এর মাধ্যমেই সমাজ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে আহসানুল ইসলামের নিজস্ব ঢঙে-- “বিরক্ত হওয়ার পরও মধ্যবুড়ো প্রযোজক আই আর মন্ডল নিভৃত হয় না। ইলা হঠাৎ লক্ষ্য করে, মন্ডলের হাত পিঠে ব্রার হুকের কাছে আটকে আছে...।”