মুখবন্ধ চার অক্ষরের একটি শব্দ ‘কারাগার’। এ শব্দ নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। কিন্তু আমরা যারা কারাগার নিয়ে কাজ করি তাদের কাছে অতিপরিচিত শব্দ এটি। কিন্তু সাংবাদিকের চোখে কারাগার একটু ব্যতিক্রম। আমি যখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে কাজ করেছি তখন থেকেই সাংবাদিক-লেখক আহমেদ কুতুবকে চিনছি। প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষ উনি। কারাগারের ভাল-মন্দ সব খবরই উনি তুলে ধরেছেন সমানতালে। তার অনেক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কারাগারকে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগাতে সহযোগিতা করেছে। তিনি সব সময় কারাগারে থাকা অসহায় মানুষদের বেদনার চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। সেই চেষ্টায় তিনি শুধুমাত্র চট্টগ্রামজুড়ে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট গিয়েও বিনাবিচারে ২২ বছর বন্দি থাকা ফজলু মিয়াকে নিয়ে টানা সাত দিন সমকালে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। তার সংবাদ আদালতে উপস্থাপন করে আমি নিরাপরাধ ফজলুকে ২২ বছর পর কারাগার থেকে মুক্ত করে তার পরিবারের কাছে ফের পাঠাতে পেরেছি। এ নিউজটির মতো তিনি ‘চার কয়দেরি দুঃখগাথা গল্প’, ‘দুই জল্লাদের গল্প’, ‘তিনি এখন ধর্মগুরু’, ‘সাজা ছাড়াই ওরা জেলবন্দি ১১ বছর’, ‘কারাগারের দুই ওর্য়াডে শামীম ও ভোলার শাসন’, ‘এক ভবনে তিন ধর্মের আরাধনা’, ‘কয়েদি হাজতীদের ক্রিকেট উৎসব’, ‘নতুন ঠিকানা বৃদ্ধ ওর্য়াড’, ‘আট কয়েদির হাতে ফুটে ৪১ প্রজাতির ফুল’, ‘রবিন-সিদ্দিকদের উৎসব একদিনই’, ‘বন্দির জন্য বঙ্গবন্ধু কর্ণার’, ‘কারাগারের স্পাইডারম্যান’, ‘ওরা লাকি সেভেন কয়েদি, ‘বন্দিজীবনে মুক্তির স্বপ্ন’, ‘আতুর ঘরে মহিলা কারা হাসপাতাল’, ‘কয়েদি শিল্পী হওয়ার গল্প’সহ বহু সংবাদ তুলে ধরেছেন। তার এ বইটি কারাগার নিয়ে কৌতুহুলী মানুষের মনের ক্ষুধা কিছুটা হলেও মিটাতে পারবে বলে মনে করছি। বইটিতে স্থান পাওয়া প্রতিটি লেখাই তথ্য সমৃদ্ধ। বইটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে সেই প্রত্যাশা করছি। মো. ছগির মিয়া ডিআইজি (প্রিজন্স) সিলেট বিভাগ বাংলাদেশ জেল