অক্তাভিও পাজ: জন্ম, মেক্সিকো সিটি, ১৯১৪। পিতামহ ছিলেন একজন প্রখ্যাত উদার বুদ্ধিজীবী এবং সুস্পষ্টভাবে ভারতীয় ভাবধারার প্রথম লেখকদের মধ্যে একজন। পিতামহের মতো বাবাও ছিলেন সক্রিয় রাজনৈতিক সাংবাদিক। পিতামহের বিশাল লাইব্রেরি পাজ-কে একেবারে শুরু থেকে সাহিত্যের সংস্পর্শে নিয়ে আসে। লেখালেখির শুরু অল্প বয়সে। ১৯৩৭ সালে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক লেখক সম্মেলনে যোগ দেন। ১৯৩৮ সালে 'টলার' (কর্ম শিবির) নামের একটি জর্নালের প্রতিষ্ঠাতাদের একজনে পরিণত হন, যেটা, মেক্সিকোতে লেখকদের একটি নতুন প্রজন্ম এবং একটি নতুন সাহিত্যিক সংবেদনশীলতার ইঙ্গিত দেয়। ১৯৪৩ সালে তিনি জাজ্ঞেনহেইম বিদ্বৎ সমিতির সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন এবং সেখানে অ্যাংলো-আমেরিকান আধুনিকতাবাদী কবিতায় নিমগ্ন হন। দুই বছর পরে কূটনীতিকের চাকরি নিয়ে প্যারিসে প্রেরিত হন; সেখানে, মেক্সিকান স্বরূপতার ওপর গবেষণা গ্রন্থ 'দি ল্যাবিরিন্থ অব সলিসিউড' লেখেন এবং সক্রিয়ভাবে সুররিয়ালিস্টদের দ্বারা পরিচালিত বিবিধ কর্মকাণ্ড এবং প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৬২-তে ভারতে মেক্সিকোর দূত হিসেবে নিয়োজিত হন। সেটা কবির জীবন ও কাজের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, 'দি গ্রামারিয়ান ম্যাংকি' এবং 'ইস্ট স্লোপ'-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজসহ অন্য কাজগুলো সেটার সাক্ষ্য বহন করে। ১৯৬৮-তে ছাত্র বিদ্রোহের ওপর মেক্সিকো সরকারের রক্তাক্ত দমননীতির প্রতিবাদে কূটনীতিকের চাকরিতে ইস্তফা দেন। তারপর থেকে একজন সম্পাদক এবং প্রকাশক হিসেবে কাজ করছেন, প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজনৈতিক কৌশল-এর ওপর নিবেদিত দুটো ম্যাগাজিন পুরাল (১৯৭১-১৯৭৬) এবং ভেলটা (Vuelta), ১৯৭৬ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ১৯৮০-তে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮১-তে অর্জন করেন স্প্যানিশ ভাষাভাষী বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাকর পুরস্কার 'সারভেন্তেস অ্যাওয়ার্ড' এবং ১৯৮২-তে আমেরিকার 'নিউস্টাড' পুরস্কার।
অক্তাভিও পাজ : জন্ম, মেক্সিকো সিটি, ১৯১৪। পিতামহ ছিলেন একজন প্রখ্যাত উদার বুদ্ধিজীবী এবং সুস্পষ্টভাবে ভারতীয় ভাবধারার প্রথম লেখকদের মধ্যে একজন। পিতামহের মতাে বাবাও ছিলেন সক্রিয় রাজনৈতিক সাংবাদিক। পিতামহের বিশাল লাইব্রেরি পাজ-কে একেবারে শুরু থেকে সাহিত্যের সংস্পর্শ নিয়ে আসে। লেখালেখির শুরু অল্প বয়সে। ১৯৩৭ সালে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় ফ্যাসিবাদ বিরােধী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক লেখক সম্মেলনে যােগ দেন। ১৯৩৮ সালে ‘টলার’ (কর্ম শিবির) নামের একটি জর্নালের প্রতিষ্ঠাতাদের একজনে পরিণত হন, যেটা মেক্সিকোতে লেখকদের একটি নতুন প্রজন্ম এবং একটি নতুন সাহিত্যিক সংবেদনশীলতার ইঙ্গিত দেয়।। ' ১৯৪৩ সালে তিনি জাজ্ঞেনহেইম বিদ্বৎ সমিতির সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন এবং সেখানে অ্যাংলাে-আমেরিকান আধুনিকতাবাদী কবিতায় নিমগ্ন হন। দুই বছর পরে কূটনীতিকের চাকরি নিয়ে প্যারিসে প্রেরিত হন ; সেখানে, মেক্সিকান স্বরূপতার ওপর গবেষণা গ্রন্থ “দি ল্যাবিরিন্থ অব সলিসিউড’ লেখেন এবং সক্রিয়ভাবে সুররিয়ালিস্টদের দ্বারা পরিচালিত বিবিধ কর্মকাণ্ড এবং প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৬২-তে ভারতে মেক্সিকোর দূত হিসেবে নিয়ােজিত হন। সেটা কবির জীবন ও কাজের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, “দি গ্রামারিয়ান ম্যাংকি’ এবং “ইস্ট শ্লোপ'-এর মতাে গুরুত্বপূর্ণ কাজসহ অন্য কাজগুলাে সেটার সাক্ষ্য বহন করে। ১৯৬৮-তে ছাত্র বিদ্রোহের ওপর মেক্সিকো সরকারের রক্তাক্ত দমননীতির প্রতিবাদে কুটনীতিকের চাকরিতে ইস্তফা দেন। তারপর থেকে একজন সম্পাদক এবং প্রকাশক হিসেবে কাজ করছেন, প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজনৈতিক কৌশল-এর ওপর নিবেদিত দুটো ম্যাগাজিন : পুরাল (১৯৭১-১৯৭৬) এবং ভেলটা (Vuelta), ১৯৭৬ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ১৯৮০-তে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮১-তে অর্জন করেন স্প্যানিশ ভাষাভাষী বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাকর পুরস্কার ‘সারভেন্তেস অ্যাওয়ার্ড’ এবং ১৯৮২-তে আমেরিকার নিউস্টাডথ’ পুরস্কার। পাজ একজন কবি এবং বিশ্লেষক। আধুনিক যুগের গােপন ধর্মটি দিয়ে কবিতার গঠন- এই বিশ্বাসটির মাধ্যমে তাঁর কাব্যিক শরীর পুষ্টি সঞ্চয় করে। পাজের কবিতা ‘পােয়েমাস ১৯৩৫-১৯৭৫ (১৯৮১) এবং সংগৃহীত কবিতা' ১৯৫৭-১৯৮৭ (১৯৮৭)-তে গ্রন্থিত হয়। পাজ, বই আকারের নানাবিধ গবেষণা গ্রন্থ, কবিতা, সাহিত্য এবং শিল্পকলা বিষয়ক সমালােচনা; মেক্সিকোর ইতিহাস, রাজনীতি ও সংস্কৃতিসহ প্রচুর পরিমাণে প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি ১৯৮৯ সালে সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার অর্জন করেন।।