উদয়পুর বিশ্ববিদ্যালয় নামের একটি কাল্পনিক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে লেখা এই উপন্যাস। “চোরাবালি” নিছক উপন্যাস নয়, দেশ-কাল-সমাজ নিয়ে লেখকের আশা-হতাশা-ক্ষোভপ্রসূত ভাবনার ভাষিক বহিঃপ্রকাশ। এখন সময়টা এমন, আমরা অনেক কিছু দেখেও দেখি না, শুনেও শুনি না, জেনেও মুখ খুলি না। লেখকের কলম কিন্তু সাহসী উচ্চারণে পিছপা হয়নি। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে ছাত্র-শিক্ষক অপরাজনীতি নিয়ে উপলব্ধি এবং উদ্বেগ কঠোরভাবেই ব্যক্ত করেছেন তিনি। ছাত্র অপ-রাজনীতির চোরাবালিতে কত শিক্ষার্থীর স্বপ্ন, কত বাবা -মায়ের আশা-ভরসার সমাধি ঘটে, অকালেই ঝরে যায় কতই-না সম্ভাবনাময় মুকুল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজও শিক্ষাঙ্গনের পবিত্রতা রক্ষায় যথোচিত ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আবার অনেক শিক্ষক আপ্রাণ চেষ্টা করেও সিস্টেমের চোরাবালিতে আটকে গিয়ে হারিয়ে ফেলছেন নিজেদের সৎ উদ্যম, অথবা পরাজিত হয়ে নিজেরা নীরব হয়ে যাচ্ছেন। এই উপন্যাসের নায়ক শেষ পর্যন্ত কি সিস্টেমের চোরাবালি এড়িয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে? ভালোবাসার চোরাবালিতে তার নিজের ভালোবাসার মানুষটি আবার হারিয়ে যাবে না তো?
জন্ম ১৯৬৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিলেটের এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা আব্দুল হাসিম, মা জুবায়দা খানম। বাবা ছিলেন লন্ডন প্রবাসী একজন সাহিত্যানুরাগী মানুষ। বর্তমানে কবিও স্বপরিবারে লন্ডন বসবাস করেন। ১৯৯৩ সালে প্রথম বই 'চেতনা' প্রকাশিত হয়। ২০১৫তে 'পথিক', ২০১৭তে 'মুছে যাওয়া পদচিহ্ন', যৌথ কাব্যগ্রন্থ 'নিঃসর্গ পদাবলি', ২০১৮তে 'আগুনের সংলাপ', 'নপুংসক নগরে', ২০১৯-এ 'বিন্দু থেকে বৃত্ত', 'বাতাসের পায়ে শব্দের ঘুঙুর' এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থ 'বসন্ত বিন্যাস' প্রকাশিত হয়। তাঁর পূর্বের গ্রন্থগুলির মতো 'তৃষিত লণ্ঠন'ও পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে প্রত্যাশা করি। প্রকাশক