ভূমিকা একুশে বইমেলা ২০০২-এ ঐতিহ্য থেকে ‘আইজ্যাক আজিমভের সায়েন্স ফিকশন গল্প-১’ প্রকাশ হওয়ার পর পাঠকদের মাঝে অভূতপূর্ব সাড়া লক্ষ করা গিয়েছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল একে একে আইজ্যাক আজিমভের সায়েন্স ফিকশন গল্প-২, ৩, ৪ প্রকাশ করে যাব। কিন্তু মেলাতে সময় স্বল্পতার কারণে আমাদের দীর্ঘ কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত আজিমভের সকল সায়েন্স ফিকশন গল্প সিরিজ আকারে প্রকাশ হতে থাকবে।
গত বছর যখন ‘আইজ্যাক আজিমভের সায়েন্স ফিকশন গল্প-১’ প্রকাশ হয় তখন বইটির সম্পাদক হিসেবে আমাকে এবং প্রকাশক হিসেবে আরিফুর রহমান নাইমকে পাঠকদের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ‘আসিমভ’-এর নাম ‘আজিমভ’ হল কেন? এ প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক। এতদিন আমরা তার নামের বাংলা উচ্চারণ লিখতাম ‘আসিমভ’ অর্থাৎ ‘স’ দিয়ে হঠাৎ করে ‘স’-র জায়গায় ‘জ’ হলো কেন? এর জবাব আমরা সরাসরি আজিমভের কাছেই শুনি:
রাশান ভাষায় আমার শেষ নামটি উচ্চারণ হয় ইংরেজি ‘জেড’-এর মতো। কিন্তু এলিস আইল্যান্ডে নামের উচ্চারণ বিকৃত হয়ে ‘জেড’-এর জায়গায় ‘এস’ বসেছে অর্থাৎ ‘আসিমভ’ হয়েছে। তবে ‘এস’-এর উচ্চারণ হচ্ছে ‘জেড’-এর মতো।
ব্যাপারটা যখন এমন চলছিল তখন আমার বন্ধু লেরিশ একদিন আমাকে ডেকে বললেন, ‘আপনি এ বিষয়টা নিয়ে সায়েন্স ফিকশন লিখছেন না কেন, যার শিরোনাম হবে- ‘Spell my Name with an S.' তারপর আমি তাঁর দেওয়া শিরোনামে একটি সায়েন্স ফিকশন লিখে ফেলি।’
পাঠক ‘Spell my Name with an S' গল্পটি এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ধন্যবাদ হাসান খুরশীদ রুমী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
সূচিপত্র * হাফ-ব্রীড * গুডবাই আর্থ * লেট’স নট * এ লয়েন্ট অব প * টু থাইজেন্ড ফোর হান্ড্রেড এন্ড থার্টি এ. ডি. * দ্য উইননাউইং * স্পেল মাইেইউথ ‘এস’ * দ্য ইমমোর্টাল বার্ড * ফ্রানশাইজ * দ্য সিক্রেট সেন্স * ড্রিমওয়ার্ল্ড * ইট’স সাচ আ বিউটিফুল ডে * দ্য উইপন টু ড্রেডফুল টু ইউজ * আ পারফেক্ট ফিট * ব্যাটল হাইম্ * ডেথ অব এ ফয় * হোয়াট ইফ * ট্রেন্ডস * দ্য গ্রেটেস্ট এসেট * দ্য ম্যাগনিফিশেন্ট প্যাসেশন * হোয়াট ইজ দিস থিং কলড লাভ? * ফাউন্ডিং ফাদার
পারিবারিক পড়াশুনার আবহই তাঁকে টেনে নিয়ে গেছে বই পড়ার দিকে। নানাকে দেখেছেন বই পড়তে, না হলে কিছু লিখতে যদিও সেগুলো কঠিন আইনের বই ‘তবুও দৃশ্যটা চােখে গেথে গিয়েছিল। অবশ্য আইনজ্ঞ নানার হাতে ভারতবর্ষের সংবিধানের বৃহদাংশ সংশোধিত জেনেও বিষয় হিসাবে আইন তাকে আকৃষ্ট করেনি। বই হাতে নিয়ে বুদ হয়ে গেলেন যে বিষয়-সেটা সায়েন্স ফিকসন। জন্ম-১৯৬৯ সালের ২ নভেম্বর । ছয় বছর বয়সেই মা হাতে তুলে দেন এখলাস উদ্দিন আহমেদের ফ্যান্টাসিয়া উপন্যাস 'নেংটি ইদুরের গল্প তার পরপরই সায়েন্স ফিকশন তুলে দেন আলেকজান্ডার বেলায়েভের উভচর। মানুষ'। বাল্যকাল কাটে ইঞ্জিনিয়ার বাবার চাকুরির সুবাদে সারাদেশ ঘুরে ঘুরে। ইন্টারমেডিয়েট পড়ার সময় রহস্য সাহিত্যিক কাজী আনােয়ার হােসেনর কাছে ধর্না দেন, তিনি পরামর্শ দেন পড়া লেখা শেষ করে লেখালেখিব লাইনে আসতে।" ১৯৯২ সালে প্রথম "সায়েন্স ফিকশন সংকলন ‘ওরা এসেছিল’। সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। প্রায় অর্ধশত সায়েন্স ফিকশন বইয়ের কাজ করেছেন তিনি। অথচ একেবারে আড়ালে ছিলেন। গত দুই যুগ ধরে। ছিলেন নিভৃতে, সেখানে থাকতেই ভালোবাসেন। বাংলাদেশের প্রথম সায়েন্স ফিকশন পত্রিকা মৌলিক-এর পিছনে মুল ইন্ধন তিনি যুগিয়ে ছিলেন, ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক। শুধু সায়েন্স ফিকশন নয়, থ্রিলার, ওয়েস্টার্ন, হরর, মিথ ছাড়াও শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করেছেন অহরহ। সম্পূর্ণ উল্টো এক চরিত্র স্যাটায়ার পত্রিকা উম্মদের সাথে গত ১৫ বছর যুক্ত আছেন। উম্মাদ সম্পাদক আহসান হাবীবের হাত ধরে ভিজু্যুয়েল মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। দেশের প্রথম ষ্ট্রট" শো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এবং প্রথম সম্পূর্ণ অ্যাকশন ধর্মী একটি নাটক তৈরি ছাড়াও বর্তমানে ডকুমেন্টারি তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। এত সব বিষয়ের বাইরেও সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিচয় আছে রুমীর। তিনি নিজে একজন কোলাজ প্রচ্ছদ শিল্পী। সেই ১৯৯২ সালে নিজের বইয়ের প্রচ্ছদ করার পর থেকে প্রায় শাচারেক কোলাজ প্রচ্ছদ করেছেন" এবং করছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিউ-এজ মিউজিক সিডি সংগ্রহ করেন এবং শোনেন। তার নিজের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি আছে। যার সংগ্রহে আছে প্রায় হাজার পাঁচেক বই। তার স্ত্রী সানজিদা আবেদীন, কন্যা সারাহ খুরশীদ এবং পুত্র ফাইয়াছ হাসান