প্রেম, ভালোবাসা শাশ্বত, চিরন্তন। সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত বিরাজমান। সর্বশক্তিমান স্রষ্টার সৃজিত সৃষ্টিকুলের মাঝে তা জড় হোক, অজড় হোক, সবাক বা নির্বাক যাই হোক না কেন, প্রাণধারী সকলের মধ্যেই প্রেম, ভালোবাসা, স্নেহ-মায়া-মমতার ফল্গুধারা বিদ্যমান ছিল, আছে, থাকবে। সৃষ্টির মূলেও আছে প্রেম, ভালোবাসা । প্রেম, ভালোবাসার প্রকাশ বিভিন্নভাবে, বিচিত্রভাবে। যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়। স্থান, কাল, পাত্রভেদে, পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী বিভিন্নরূপে, বিভিন্ন চিত্রে, আকারে- ইঙ্গিতে, ভাষায়, অঙ্গভঙ্গিতে প্রকাশিত হয় । সৃষ্টিকুলের মধ্যে মানুষ যেমন একদিকে শ্রেষ্ঠ, তেমনি বিচিত্র। প্রত্যেকের মধ্যেই আলাদাভাবে স্বকীয়তা বিদ্যমান। সে স্বকীয়তার জন্যই আলাদা বৈশিষ্ট্য, বিচিত্রতা। কালের বিবর্তনে যুগে যুগে তাতে যোগ হয়েছে আরো বৈচিত্র্যতা । নর-নারীর পরিপূর্ণতার জন্য, সুস্থ মন- মানসিকতা নিয়ে জীবন-যাপনের জন্য, যাপিত জীবনে অগ্রগতির জন্য, জীবন সংগ্রামে জয়ী হওয়ার জন্য, সফলতার জন্য, প্রতিটি ক্ষেত্রে অপরিহার্য — তাই প্রেম- প্রীতি-ভালোবাসার দান অনস্বীকার্য, অন্যদিকে বিফলে ব্যর্থতাও পরিদৃশ্যমান । অত্র বইয়ের বিভিন্ন গল্পে নর-নারীর বিভিন্ন চরিত্রে এই ভালোবাসার বৈচিত্র্যতার সন্ধান, মধুর রোমান্টিকতা, পুলকিত ও আকর্ষিত করতে পাঠকহৃদয়কে, ভালোবাসার সুলক-সন্ধান, তার অন্ধি সন্ধি লাভে সমর্থবান হওয়া যাবে আবার অন্যদিকে ব্যর্থতার বৈপরীত্যে পরিণতির ধারা উপলব্ধি করা যাবে। মানব মনের ধারা উপলব্ধি করা সহজসাধ্য নয়। সে নিজেই জানে না পরবর্তী সময়ে তার মনের ধারা কোন পথে পরিবর্তিত হবে। এ সুলক সন্ধানের বিষয়ও অনুভব করা যাবে। মূলতঃ প্রেম, ভালোবাসার বিষয়টি ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় অনুভূত হয় প্রত্যেকের মনে । আর সবকিছুর মূলই হচ্ছে এই ভালোবাসা। তাই পাঠকচিত্তে ভালোবাসার অনুভূতি ও আলোড়ন সৃষ্টির প্রয়াস লেখকের । আর সে প্রয়াসে তিনি কৃতকার্য বলা যায় নিঃসন্দেহে ।