কৌতূহল মানব মনের এক অসাধারণ প্রবৃত্তি। জানার আগ্রহ মানুষের সেই আদিকাল থেকেই। কিছু কিছু ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ দুর্দমনীয়। আমাদের পূর্বপুরুষ কোথায় থেকে এসেছেন, কোন পথ দিয়ে এসেছেন, কিভাবে এসেছেন, এ কথা কার না জানতে ইচ্ছে করে? আমরাতো তাদেরই উত্তরাধিকারী। আর সবগুলো ঘটনা যদি হয় কৌতূহলোদ্দীপক ও স্মৃতির পরিজাত রেণু- তাহলে তো আর কথাই নেই। যে রকম চেয়েছি সে রকমই পেয়েছি। একথা বিনীতভাবে জানিয়ে নিশ্চিত করতে চাই যে, লিপিবদ্ধকৃত ঘটনা অথবা তথ্য ও উপস্থাপনা কোনটার চেয়ে কোনটা কম চমকপ্রদ নয়। একবার পড়া শুরু হলে শেষ না করে পারা যাবে না। পড়তে পড়তে মনোজগতে এমন একটি অবস্থা তৈরি হবে, তারপর কি হবে কিংবা তারপর কি আছে? 'আলোকিত রায়পুর' বই এর প্রথম থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত প্রতিটি লেখা পাঠককে ভীষণভাবে উত্তেজিত ও আবেগাপ্লুত করে তুলবে এবং পাঠকের মাঝে মাঝে নিজের অজান্তে চোখ থেকে পানি বের হয়ে খাবে। বইটির লেখক মো ইসমাইল হোসেন খান শামীম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর, পুরোজীবন তিনি পড়ালেখার মাঝেই কাটিয়েছেন। তিনি বত্রিশ বছর সাধনা, স্টাডি, গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ, তথ্য যাচাই-বাছাই, অনেক ত্যাগ ও কষ্ট শিকার করে তথ্য সমৃদ্ধ এই বইটি লিখেছেন। বইটি তারদ্বারা লেখা সম্ভব হয়েছে কারণ তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত রায়পুর দর্পণ নামে একটি পত্রিকা নিয়মিত ২৫ বছর সম্পাদনা করেছেন। অনেক সময় নিয়ে, অনেক যত্নসহকারে এবং অনেক তথ্য দিয়ে, অনেক অভিজ্ঞতার আলোকে শামীম খান এ বইটি লিখেছেন- তাঁর কষ্ট আমি সচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছি। বইটি যখন প্রকাশিত হয় তখন তাঁর বয়স ৫৫ বছর এবং তাঁর পত্রিকার বয়স ২৫ বছর। বইটি পাঠকের ভালো লাগলেই কেবল লেখক তাঁর পরিশ্রমের স্বার্থকতা খুঁজে পাবে। আশা করি বইটি সকল বয়সের সকল জ্ঞানপিপাসু পাঠকদের কিছু সময় কৌতূহল দ্দীপ্ত ও অনুসন্ধিৎসু মন ও উন্মাতাল স্মৃতিতে আপ্লুত করে রাখবে। 'আলোকিত রায়পুর' বইটি অধিকতর প্রচার ও প্রসার কামনা করছি এবং লেখকের সুস্থতা কামনা করছি।