‘মেঝেয় পিঁপড়ের চড়ুইভাতি’ উপন্যাসের প্লটের শুরুটা হয়েছে করোনাচলাকালীন সময়ে এক উচ্চবিত্ত জীবন যাপন করা পরিবারের হঠাৎ অর্থকষ্টে নিম্নবিত্ত শ্রেণিতে আছড়ে পড়ার কাহিনী দিয়ে। সেঁউতি,উপন্যাসের মূল চরিত্র এই পরিবারের এক মুখ্য সদস্য। জীবনের অভিযোজনের এই খেলায় কোভিড যেমন ক্রমাগত মিউটেশনের মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তৎপর থাকে, তেমনি হঠাৎ মাঝনদীতে ডুবতে বসা সেঁউতিও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে নিজের সর্বোচ্চ সীমায় যায়। ডায়নোসরের মতো আজীবনের জন্য কেইবা হারিয়ে যেতে চায়? না দারিদ্র্য, না অভাব, না কোভিড, না ডিপ্রেশন, না অসহায়তা, না সেঁউতি কেউই নিজের জায়গা ছাড়তে চায় না। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এই খেলায় হাত বাড়ায় অনেকেই। সেঁউতি বোঝে না কোনটা ফাঁদের হাত, কোনটা কামের আর কোনটা ভালোবাসার। অয়ন আর চর্যাপদ বড়ুয়া ধাঁধায় সে নিজেই আটকে যায়। সময় আরো কঠিন হয়। কী হয়? সেঁউতি কি টিকতে পারে সেই কঠিন সময়ে? রাফা তার বেছে নেওয়া রামধনু জীবনে কতটা সুখী হয়? প্রিয়ল কেন বদলে যায় পুরোপুরি? শামসুল আলমের কেন একদিন হঠাৎ মরে গিয়ে ধুলোর সাথে মিলেমিশে শূন্য হয়ে যেতে ইচ্ছা হয়? কেন লায়লা বানু কোমরে সোনার চোরাকাটার বদলে বিড়ির বান্ডিল নিয়ে ঘোরে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আছে এই বইটায়। আমাদের জীবনের কানাগলিতে বারবার ফিরে আসা প্রশ্নগুলোর বাড়িঘর আছে এখানে।