হরপ্পা সিরিজ ( #১.হরপ্পা #২.প্রলয় #৩. কাশী) জনরা- হিস্ট্রিক্যাল ও মিথলজিক্যাল থ্রিলার। #1... হরপ্পা-কার্স অব দ্য ব্লাড রিভার লেখকঃ ভিনীত বাজপেয়ী অনুবাদঃ অনোয়ার হোসেন সম্পাদনাঃ আশরাফুল সুমন মুদ্রিত মূল্যঃ ৩৮০ টাকা। কাহিনী সংক্ষেপঃ গল্প আবর্তিত হয়েছে ইতিহাস থেকে কিংবদন্তিতে, অতিপ্রাকৃত থেকে ধর্মে, জাদুবিদ্যা থেকে বন্ধুকযুদ্ধে, তান্ত্রিকতা থেকে যুদ্ধবিদ্যায়, ভালবাসা থেকে উচ্চাকাঙ্খায়। এক সূতোয় গেথেছে ৩,৭০০ বছরকে-শক্তিশালী প্রাচীন আর বর্তমান সময়ের সব চরিত্র-সেই সাথে নখ কামড়ানোর মতো ষড়যন্ত্র-সবই মলাটবদ্ধ হয়েছে এই এক থ্রিলারে। ২০১৭, দিল্লি- মুমূর্ষ পিতৃপুরুষ ডেকে পাঠালেন বিদ্যুৎকে। দেবরক্ষা মঠের সেই বৃদ্ধ ব্রাক্ষ্মন গোত্রপধান বা দেবতা-দানবের বংশধর, বহন করে চলেছেন এক গোপন রহস্য। তাদের বংশের রক্ত বহন করে চলেছে এক প্রাচীন অভিশাপ যা মানবসভ্যতার জন্য এক ভয়ংকর মহামারী হয়ে নিয়ে যাবে সহিংস বিলুপ্তির পথে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৭০০ সাল, হরপ্পা- প্রমত্তা স্বরসতী নদীতীরে অবস্থিত এক সমৃদ্ধশালী জমকালো শহর হরপ্পা। শেষ দেবতার উপর ভর করে বিশ্বাসঘাতকতার অন্ধকার, তান্ত্রিক যাদুবিদ্যা এবং রক্তপাত-উন্মোচিত করে দেয় তার ধ্বংসের পথ। ২০১৭, প্যারিস- কেঁপে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতাশালী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি। ইউরোপের ভয়ংকর ক্রাইম লর্ডের সাথে প্যারিসে দেখা হলো রহস্যময় এক মানুষের। নৃশংস এক গুপ্তঘাতক চড়েছে ট্রেনে, চরম ভয়ংকর কিছু ঘটার অপেক্ষা করছে রোম শহর। ফিরে এসেছেন পূর্বঅনুমিত দেবতা। বানারস, হরপ্পা আর রোমের মাঝে যোগসূত্রটা কোথায়? কি সেই প্রাচীন অভিশাপ? আর শেষ দেবতাই বা কে? বিশাল হিন্দুকুশ উপত্যকার পতনের পেছনের কারন কি? জানতে হলে পড়তে হবে সহিংসতা আর শঠতা, দেবতা আর দানব, ভালবাসা এবং উচ্চাকাঙ্খার এই আখ্যান। প্রচ্ছদ করেছেন আদনান আহমেদ রিজন ভাই। #2..বই: প্রলয় মূল - বিনীত বাজপেয়ী অনুবাদ- যুবায়ের আহম্মেদ সম্পাদনায় - আশরাফুল সুমন মুল্যে- ৪৬০৳ কাহিনী সংক্ষেপ ---- অর্ধেক মানব অর্ধেক ঈশ্বর বিভাষণ পুজারি, প্রাচীন শহর হরপ্পার দেবতাতুল্য মানুষটি আচমকাই বদলে গেলেন যুদ্ধের ডামাডোলে। প্রিয়তমা স্ত্রী আর পুত্রের করুণ পরিণতি শুনে ক্ষিপ্ত আর হতাশ বিভাষণ হাত মেলালেন অসুর রাজের সাথে! তার পরের লক্ষ্য জাগতিক কেউ নয়, বরং সাধারণের উর্ধ্বে অন্য কেউ। যুবক মনু ছুটে চলেছে রহস্যময় কালো মন্দিরের দিকে। কি আছে সেই কালো মন্দিরে? খুব অল্প সংখ্যক মানুষই জানেন এই কালো মন্দিরের রহস্য। যাদের মাঝে অন্যতম নীল চামড়ার মৎস্য! মনুকে নিয়ে কি করতে চান এই রহস্যময় ব্যক্তিটি? দেব-রাক্ষস মঠের গোত্রপ্রধান দর্ক শাস্ত্রীর উপস্থিতিতেই মঠের ভেতর ঘটে গেল এক বীভৎস খুন! কপাল অর্পণের প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে গেল ভয়ানক ত্রিজাত কাপালিক। ত্রিজাতকে ঠেকানোর একটাই উপায়। সেই দুঃসাহসিক পথে কি সত্যিই এগিয়ে যাবে সবশেষ দেবতা বিদ্যুৎ? প্রলয় উপন্যাসের বাঁকে বাঁকে আপনার সাথে দেখা হবে বিখ্যাত কনস্ট্যান্টিনোপোলের সাথে দেখা হবে মরুর বুকে কাউন্সিল অফ নিশিয়ায়। ভিনীত বাজপেয়ির আরেক পৌরাণিক যাত্রায় আপনাকে স্বাগত । #3.... কাশী মূল - বিনীত বাজপেয়ী অনুবাদ- নিজাম উদ্দিন অপু সম্পাদনায় - আশরাফুল সুমন মূল - ৫০০৳ কাহিনী সংক্ষেপ ---- ১৬৯৯ খ্রিষ্টপূর্ব, আর্যাবর্তের জলাশয়- প্রলয়ের দৈত্যাকার ঢেউগুলো যখন শহরের পর শহর গ্রাস করতে শুরু করে, জাহাজ ও পৃথিবীর মধ্যকার চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হয়। একজন ভয়ঙ্কর বর্বর রাজা মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করে এবং কলিযুগের সূচনা করে। ২০১৭, বেনারস- রাতের আকাশে ভবিষ্যদ্বাণীকৃত সময়ে পবিত্র নক্ষত্র ভেসে ওঠে। একটি দেবতা-বলি যা একটি ভয়ঙ্কর রাক্ষসবলিতে পরিণত হয়, যেখানে দেবতা একটি অশুভ গোপন ভ্রাতৃসংঘের রক্তাক্ত উপাখ্যান উন্মোচিত করে। ৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ, রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের পরাক্রমশালী পৃথ্বীবল্লভের কাছে পবিত্র শহর থেকে একজন রহস্যময় দর্শনার্থী উপস্থিত হন। তার রাজ্যের উপর একটি প্রাচীন গোপনীয়তাকে সংরক্ষণ করার ভার দেওয়া হয়েছে এবং তাকে একটি অসম্ভব ও কিংবদন্তি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ কি ভ্রাতৃসংঘের সাথে তার সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে ? ইউরোপের চতুর্দশ শতকের ব্ল্যাক ডেথের পিছনে ভয়ঙ্কর সত্য কী? আলো এবং অন্ধকার, ভাল এবং মন্দ, ঈশ্বর এবং দানবদের মধ্যে চূড়ান্ত যুদ্ধের সাক্ষী হতে বইটি পড়ন।