বিভিন্ন তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১৩-১৫ লাখ। প্রতি বছর এ-দেশে প্রায় ২ লাখ নতুন ক্যান্সার রোগী সনাক্ত এবং ১.৫ লাখ মৃত্যুবরণ করে। কয়েক বছর পূর্বে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও যোগ্য জনবল, বিশেষ করে মেডিকেল ফিজিস্টের অভাবে অধিকাংশ বাংলাদেশী রোগী বিদেশে চিকিৎসার জন্য গমন করতো। অধুনা বাংলাদেশে বিপুল ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে, দেশের প্রায় সব রেডিওথেরাপি বিভাগে মেডিকেল ফিজিসিস্ট কর্মরত আছেন। অনুরাগীদের স্মৃতিকথায় অধ্যাপক জাকারিয়া: বাংলাদেশে মেডিকেল ফিজিক্সের পথিকৃৎ গ্রন্থে ৩টি ভাগে ৩১টি নিবন্ধ সংকলিত হয়েছে। আলোচ্য স্মৃতিগ্রন্থে প্রখ্যাত ডাক্তার, মেডিকেল ফিজিসিস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও তাঁর বন্ধুবান্ধব সহ অনেকেরই ড. জাকারিয়া সংশ্লিষ্ট নানা স্মৃতি রয়েছে। প্রত্যেক লেখকই মুক্তমনে স্ব-স্ব অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। এসব বিবেচনায় বইটি বৈচিত্র্যময়। অনুসন্ধিৎসু গবেষক ও পাঠকের জন্য বাংলাদেশে শাস্ত্ররূপে মেডিকেল ফিজিক্স সূচনা এবং প্রতিষ্ঠায় এ-যাবৎ চ্যালেঞ্জ এবং মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানার অভিজ্ঞতা হবে-এ ধারণা অমূলক নয়। তাছাড়া ড. জাকারিয়ার বৈচিত্র্যময় জীবনের নানা জানা অজানা কর্মের বর্ণনা গ্রন্থটিতে তুলে ধরা হয়েছে। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। গ্রন্থটির প্রকাশক আলো ভুবন ট্রাস্ট (আলো-বিটি)। ২০১৭ সালে এটি একটি অলাভজনক ও দাতব্য কল্যাণ সংস্থারূপে গঠিত হয়। সংস্থার লক্ষ্য, মানবতার সেবা এবং টেকসই উন্নয়ন। আলো-বিটি প্রতিষ্ঠা-উত্তর বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরন্তর ব্যপ্ত রয়েছে। স্মর্তব্য, অধ্যাপক ড. গোলাম আবু জাকারিয়া আলো ভুবন ট্রাস্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। গ্রন্থটির লেখকদের ধন্যবাদ জানাই। বইটি প্রকাশনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করে অধ্যাপক ড. মনসুর মুসা, ড. কুতুব আজাদ, মুহাম্মদ রাসেল, মোঃ আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ উল্লাহ সীমান্ত ও কাজীমুদ্দিন অলিন-সহ অন্যান্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তাছাড়া প্রচ্ছদ তৈরির জন্য ধ্রুব এষকে জানাই ধন্যবাদ। গ্রন্থটি তরুণ প্রজন্মের জন্য নির্দেশিকাস্বরূপ। আলোচ্য গ্রন্থটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সেতুবন্ধনে সুস্পষ্ট নির্দেশনা লাভে সক্ষম হবে।