ইউরোপের চিত্রকলার ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব বর্তমানে ভিনসেন্ট ভ্যানগখ, শিল্প গবেষকরা তাকে 'ইম্প্রেশনিজম উত্তর' শিল্পীদের দলভূক্ত করেছেন। মাত্র ১০ বছরের কর্ম জীবনে তিনি বিশাল সংখ্যক স্কেচ ও পেইন্টিং করেছেন। তার জীবদ্দশায় এসব ছবি বিক্রী না হলেও বর্তমানে ছবির নিলামে তার সামান্য কোন স্কেচও আশ্চর্য মূল্যে বিক্রী হয়। ছবি ছাড়াও তার লেখা চিঠিগুলির সাহিত্য মূল্য অপরিসীম, এই বইয়ের শেষাংশে কয়েকটি নমুনা সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিনসেন্টের নাটকীয় জীবনের আবেগময় এক উপস্থাপনা এই বইয়ে লিপিবদ্ধ হয়েছে। ছবির পর্যালোচনা একধরনের গবেষণার মতো, সেরকম পাঠের সুযোগও অন্যত্র যথেষ্ট রয়েছে। এই বইটি শিল্পীর ব্যক্তিজীবনের আলেখ্য, সমকালীন পরিবেশের মাঝখানে দাঁড় করিয়ে তাকে চিনিয়ে দেয়া হয়েছে। পাঠক চিনতে পারবেন সেই আবেগী ‘ভিনসেন্টকে’ তাঁর আঁকা ছবির বিশ্লেষণে যা হয়ত মিলবে না। লেখক নিজে একজন খ্যাতনামা কবি ও গল্প লেখক হিসাবে ভিনসেন্টের জীবনের উত্থান-পতনের মধ্যে তার আবেগতাড়িত শিল্পীমনের কল্পচিত্র রচনা করেছেন। বইয়ের সম্পূর্ণতার প্রয়োজনে শিল্পীর বিখ্যাত ছবিগুলির পরিচয় মূল লেখার পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে। ‘ভিনসেন্ট ভ্যানগখ’কে যারা চিনেন কিংবা চারুকলা নিয়ে যাদের আকর্ষণ আছে তাদের জন্য বইটি খুবই সময়োপযোগী। উন্নত মানের কাগজ, মলাট এবং প্রিন্টিং কোয়ালিটির কারণে তার আঁকা স্কেচ, ড্রয়িং এবং পেইন্টিং গুলো বইটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
Title
ইউরোপীয় চিত্রকলায় ইম্প্রেশনিজম ও ভিনসেন্ট ভ্যানগখ
ষাটের দশকের অন্যতম প্রধান কবি ও কথাশিল্পী খালেদা এদিব চৌধুরী। সাহিত্যকর্মের অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার, (১৯৮৮) আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, (১৯৮৯), কবি। জসীম উদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার, (১৯৮৯), বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, (১৯৯১), সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। খালেদা এদিব চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ৩রা জুলাই জন্মগ্রহণ করেন কুমিল্লা জেলার পয়ালগাছা গ্রামের জমিদার চৌধুরী পরিবারে। তার পিতার নাম আনােয়ারুল হক। ১৯৫৮ সালে তিনি টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ থেকে স্নাতক, পরে শিক্ষায় স্নাতক লাভ করেন ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে এবং ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলাভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। প্রথম জীবনে তিনি। শিক্ষকতা করেন এবং পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকতা পেশায় যােগ দেন। একটা সময় এসে তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘকাল সম্পাদনা করেন কিশাের পত্রিকা নবারুন'। এছাড়াও তিনি মননশীল সাহিত্য পত্রিকা। ‘অতলান্তিক’ সম্পাদনা করেন। ১৯৭৩ সালে তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, শিশুসাহিত্যসহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪৩টি। মৃত্যু ২৮ মে ২০০৮।