বাংলায় আগত প্রথম সাহাবী কে? প্রশ্নটির উত্তর জানার এবং জানানোর আকুতি থেকেই এই বইটির জন্মপ্রকৃয়া শুরু। মাত্র পাঁচ শব্দের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে বোঝা যায় এর উত্তরের শেকড় অনেক গভীরে এবং এর সঠিক উত্তর প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত তথ্যের বিপরীতমুখী। ইতিহাসের প্রয়োজনে এই বইতে মূল বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংযুক্ত হয়েছে আরও তিনটি অধ্যায়। প্রথম অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে প্রাচীন আরব ও ভারতবর্ষের আদিম যুগের সূচনা এবং এর যোগাযোগে ইতিহাস। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে প্রথম সভ্য মানব-মানবীর পৃথিবীতে আবতরণ থেকে শুরু করে বংশ বিস্তার এবং তাঁদের বংশধরদের পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপট। দ্বিতীয় অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে প্রাক-ইসলামিক যুগে শুরু হওয়া আরব বণিকদের বাণিজ্যযাত্রা ও সমৃদ্ধ বাংলায় তাঁদের বাণিজ্যের ইতিহাস। যেখানে উপস্থাপন করা হয়েছে বাণিজ্য যাদের সম্ভ্রান্তের প্রতীক, বাণিজ্য যাদের রক্তে মিশে থাকে এমন আরব বণিকদের আরব-চীন পথে দুঃসাহসী বাণিজ্যযাত্রার কিছু খন্ডচিত্র। এছাড়া প্রাচীন বাংলার উপচে পড়া সমৃদ্ধির এবং এখানে বণিকদের সতঃফূর্ত আগমন ও বাণিজ্যের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এই অধ্যায়ে। তৃতীয় অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে সাহাবীদের ধর্মের জন্য দেশত্যাগী জীবন এবং হজরত মোহাম্মদের (স) জীবদ্দশায় এই বাংলায় তাঁদের আগমন এবং ধর্ম প্রচারের কিছু দৃশ্য। কোন উদাহরণ বা প্রমান ছাড়াই শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে যাঁরা শুধু ধর্মের জন্য শূন্য হাতে গৃহত্যাগী হয়েছেন, পরিবার বা গৃহবিচ্ছেদের যন্ত্রনা যাদের পথ রোধ করতে পারেনি এমন কিছু সাহাবীদের দেশত্যাগী জীবনের কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে এই অধ্যায়ে। শুধু তাই নয়, হজরত মোহাম্মদের (স) জীবদ্দশায় জন্মভূমি থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে এই বাংলায় যাঁরা এসেছেন ধর্মের বাণী নিয়ে তাঁদের কথাও বর্ণিত হয়েছে হয়েছে এখানে। সর্বশেষ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে এই বাংলায় আগত প্রথম সাহাবীর প্রকৃত নাম। তাঁর নাম নিয়ে বিভ্রান্তির সম্ভব্য কারণ এবং এর অবসান।
জন্ম-৬ জুন ১৯৮৮, গাইবান্ধা। ছোট থেকে বেড়ে ওঠা ও পড়ালেখা বগুড়ায়। সরকারী আজিজুল হক কলেজ থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং এ স্নাতক এবং সরকারী তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। দেশের প্রথম সারির সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে কর্মরত। আল্লামা জালাল উদ্দিন রুমি (রঃ) লিখিত মসনভি শরীফ এবং ইসলামের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন।