মদীনায় আবু কুদামা শামী নামক এক ব্যক্তি ছিলো। জিহাদের প্রতি ছিলো তার অগাধ ভালোবাসা ও ব্যাকুলতা। জিহাদ যেন তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। তাই আল্লাহর রাহে জিহাদ করার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন এবং জীবনের অধিকাংশ সময় যুদ্ধের ময়দানে অতিবাহিত করেন। একদা মসজিদে নববীতে বসাছিলেন তিনি। লোকদের সাথে বিভিন্ন কথা- বার্তা বলছিলেন। জিহাদ বিষয়েও কথা বললেন। উপস্থিত জনতার কেহ বললো, হুজুর! আপনি দীর্ঘ দিন হলো জিহাদ করেছেন। আর জিহাদের জন্য স্বীয় জীবন উৎসর্গ করেছেন। জিহাদের ময়দানের বিভিন্ন অবস্থা আপনি অবলোকন করেছেন। জিহাদের ময়দানে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনাও স্বচক্ষে দেখেছেন। আজ আমাদেরকে আশ্চর্যজনক একটি ঘটনা শুনান। শায়খ আবু কুদামা বললেন, তাহলে এবার শোন! কোনো একদিন ফুরাত নদীর তীরে বসা ছিলাম। হঠাৎ অচেনা এক মহিলা এসে বললো, হে শায়খ আবু কুদামা! আমি আপনার সম্পর্কে জেনেছি, শুনেছি। আপনি জিহাদের উপর বয়ান করেন। লোকদেরকে জিহাদের প্রতি উৎসাহিত করেন। মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে আল্লাহর শত্রুদের সাথে জিহাদ করেন। আল্লাহ তাআলা আমাকে লম্বা লম্বা চুল দান করেছেন। সে চুল আমার রূপ সৌন্দর্য বর্ধন করা ছাড়া কোনো কাজেই আসে না। আমি এক স্বামী হারা ঘরণী, সন্তান হারা জননী। আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়ে যান। আমার সন্তান-সন্ততিও শহীদ যায় । জিহাদকে আমি খুব বেশি ভালোবাসি। যদি আমার উপর জিহাদ ফরজ হতো তাহলে আমি নিজেই জিহাদী কাফেলায় শরীক হতাম। কিন্তু দুঃখ,