জুলুমবাজ-অর্থলোভী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আমলা, ব্যাংক লুটেরা, প্রতারক, সন্ত্রাসী, গডফাদার, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, এমনকি এমপি-মন্ত্রীদেরও অপকর্ম নিয়ে একের পর এক দুঃসাহসিক সব অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে হায়দার আলী হয়ে ওঠেন পাঠকমহলে এক জনপ্রিয় সাংবাদিক। ‘রাজাকারের তালিকা করছে জামায়াত’ শিরোনামের প্রতিবেদন করে নিজের সর্বত্র-বিচরণী অনুসন্ধানী প্রতিভার স্বাক্ষরও রাখেন তিনি।
এমনকি ক্যাসিনো-কান্ড পর্বের সাংবাদিকতার সময়ও তিনি কুখ্যাত অপ্রতিরোধ্য ঠিকাদার জি কে শামীমকে নিয়ে ব্রেকিং নিউজটি করে চমকে দেন দেশবাসীকে। আরো কয়েকটি প্রতিবেদনের শিরোনাম থেকেই হায়দার আলীর অনুসন্ধানী দৃষ্টির ধাঁচ ও ধার সম্পর্ক আঁচ করা যাবে। যেমন-‘কৃষক নেতার এত সম্পদ!’, ‘এমপির শ্যালিকার ৫০০ কোটি টাকা’, ’৭২ দলিলে ২০০ বিঘা জমির মালিক কাস্টমস কর্মকর্তা জাহিদুল’, ‘বিমানে চড়িয়া মর্দ অফিসে যায়’, ‘পিয়ন আলী থেকে পাওয়ার আলী’, ‘দুর্নীতির ধুম দুদকেই’, ‘নিজের সাজা ভোগ ভাড়াটে দিয়ে’, ‘রডের বদলে বাঁশ দিয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার’, ‘দুই কর্মকর্তার সাত পদ’, ‘জালিয়াতের ওপর টেক্কা’, ‘প্রতারণায় সাহেদকেও ছাড়িয়ে আমিনুল’, ‘পুলিশ ধরে নেওয়ার পর ৬ নেতা নিখোঁজ’, ‘জাহাঙ্গীর নাটক রহস্যে ঘেরা’, ‘কোটি টাকায় মেয়র পদ বিক্রি’, ‘বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি’ নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন।