সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে থাকে, হতে থাকে মানব জীবনের নানাবিধ প্রসঙ্গ। এসব বাস্তবতা আর প্রেম সত্বার রসদে জন্মাবদী মানুষ চলছে পায়ে পায়ে অনন্ত সময়ের দিকে। সৃষ্টি আর স্রষ্টার মাঝে প্রেম-ই সেতু বন্ধন। প্রেম থেকে কবিতা, কবিতা থেকে প্রেম। একে অপরের পরিপূরক। কবি তার এক কবিতায় লিখেছেন- “প্রেমের পরাকাষ্ঠা অপরাধে কিংবা খামুখাই আমার পৃষ্ঠে, শপাং শপাং চাবুক চলতে থাকে।” কবি আরো লিখেছেন “তোমার নিষিদ্ধ জলাশয় ছাড়া অন্য কোন স্নানও বুঝি না।” “যদি-, আবার রাতের গোপন শরীরে কুমারী মেয়ের, নীল টিপে আটকা পরে ঘুমের পারদ;” “তোমার নির্বাসনে যাওয়ার গল্পটা, আজ পারিজাত কাব্যের পঙতি বিশেষ।” “নৃত্যের মুদ্রা ভাঙ্গে কজ্জল রেখায়, তাজ্জব আমোদে থেকো, প্রিয় সারথী আমার।” “তর বুকে আপন হবো, গোপন কিছু কথা কবো, মন কিনারে ঘর বাঁধিবো, নিশির কোলাহল, জল হবো জল।” এরূপ শব্দ চয়ন উৎকৃষ্ট ভালোবাসার রূপ প্রকাশ করে। যুগান্তরের হিসেব সংখ্যায় ইতিহাস উপাখ্যানে কালে কালে রচিত হয়েছে ভালোবাসার মহাকাব্য। কবি ‘যদি এবং তথাপি’ কাব্যগ্রন্থে নতুন আঙ্গিকে ভিন্ন মাত্রার কবিতা উপস্থাপন করেছেন। যা এক স্বতন্ত্র ধারায় প্রবাহিত। নতুন লিখনি স্রোত। পাওয়া না পাওয়ার বর্ণিল স্থির চিত্র। যা পাঠককে নির্মল রসদ যোগিয়ে অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। গ্রন্থটি পাঠকের মনের মুকুরে থাকবে নতুন উষ্ণতায়। শিরি-ফরহাদ, লাইলি-মজনু সহ সকল প্রেমিক-প্রেমিকা প্রেম-বিরহ নিয়ে হাজার বছরের ইতহাস গড়ে রেখেছেন। যার সূত্র প্রকাশের লক্ষ্যেই কথা সাহিত্যিক চৌধুরী সাব্বির আলম তার ‘চিরকুটে প্রেম’ গ্রন্থে লিখেছেন “প্রেম আমার বিশ্বাস, বিরহ আমার নিশ্বাস, প্রেম-বিরহে পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয়েই আমি আজ প্রেমিক পুুরুষ। কিন্তু- কখনো প্রেমের আলিঙ্গন বুঝিনি, খুঁজতেও চেষ্টা করিনি। শুধু উপলব্ধি করা হলো প্রেম নামক ভালোবাসার ক্যামেস্ট্রি।” কবি আলতাফ হোসেন সিরাজি’র কাব্যগ্রন্থ ‘যদি এবং তথাপি’র নতুন ছন্দে আবিষ্ট করুক। সুকুমার পাঠক মহলে সাড়া জাগিয়ে ফাগুনের প্রথম প্রহরে ভালোবাসার আত্মনির্ভরতা জ্বলে উঠুক। - মো: সাব্বির আলম চৌধুরী সম্পাদক-প্রকাশক ও লেখক