ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা রাজশাহী ও হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপনা করেছেন প্রায় তিরিশ বছর।কেমব্রিজ ইতিহাসবিদ জে বি বিউরি রচিত অ্য হিস্ট্রি অফ থট ইউরোপে মুক্তবুদ্ধি চর্চার দীর্ঘ সংগ্রামের এক বিশিষ্ট ধারাভাষ্য। প্রাচীন কাল থেকে বিশ শতকের প্রথম দশক পর্যন্ত ইউরোপ মহাদেশে চিন্তার স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে গৌরবময় লড়াই চলেছিল সেই ইতিহাসমূখর দক্ষতা ও নিখূঁত বৈশদ্যের সাথে এখানে উপস্থাপিত।এ গ্রন্থে লেখক মুক্তচিন্তার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এ কারণে প্রাচীন গ্রেকো-রোমান সভ্যতার প্রতি তাঁর পক্ষপাতিত্ব লক্ষণীয়। পক্ষান্তরে খ্রিষ্টধর্মের কর্তৃত্ত্বাধীন মধ্যযুগীয় ইউরোপের প্রতি তাঁর বিরাগ সুস্পষ্ট। শেষ অধ্যায়ে বিউরি চিন্তার স্বাধীনতার সপক্ষে জোর সওয়াল করেছেন।তাঁর মতে মুক্তচিন্তার সামাজিক উপযোগিতা রয়েছে এবং মানব জাতির প্রগতির স্বার্থে স্বাধীন চিন্তা ও অবাধ আলোচনার সুযোগ থাকা জরুরি।বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন ইউরোপেই সবচেয়ে দীর্ঘ, সংগ্রামমুখর ও ফলপ্রসূ হয়েছিল। বিশ্বসভ্যতায় পাশ্চত্য যেসব অমূল্য অবদান রেখেছে তার মধ্যে মুক্তবুদ্ধি চর্চার অধিকার বিশিষ্টতম। বিজ্ঞান-মনস্কতা, গণতন্ত্র, মানববাদ, ইহজাগিতকতা, প্রগতির এষণা ও অভ্যুদয় মুক্তবুদ্ধি চর্চার ফসল। উদার গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, মানবধর্মী, আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণের যে অঙ্গীকার আমাদের আছে, তার অনুকূলে অধ্যাপক বিউরির এই ক্ষীণতনু অথচ তথ্যঋদ্ধ পুস্তকখানি মূল্যবান অবদান রাখতে পারে।
সূচিপত্র *অনুবাদকের মুখবন্ধ *প্রথম অধ্যায় : চিন্তার স্বাধীনতা ও বিরোধী শক্তি *দ্বিতীয় অধ্যায় : স্বাধীন যুক্তির যুগ : গ্রীস ও রোম *তৃতীয় অধ্যায় : যুক্তির বন্দিদশা (মধ্যযুগ) *চতুর্থ অধ্যায় : পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা রেনেসাঁস ও রিফমের্শন [বা ধর্মসংস্কার] *পঞ্চম অধ্যায় : ধর্মীয় সহিষ্ণুতা *ষষ্ঠ অধ্যায় : যুক্তিবাদের বিকাশ (সতেরো ও আঠারো শতক) *সপ্তম অধ্যায় : যুক্তিবাদের অগ্রগতি (উনিশ শতক) *অষ্টম অধ্যায় : চিন্তার স্বাধীনতার যৌক্তিকতা *গ্রন্থপঞ্জি