গ্রীষ্মের সন্ধ্যাবেলা মাছকাটা নদীর তীরে খালি গায়ে বসে গরমে শরীরটাকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছে সাকিব। সে মাঝে মাঝেই এ রকম করে। আশেপাশে কেউ নেই হঠাৎ উত্তরের আকাশ থেকে ক্ষণিকের জন্য প্রচন্ড আলোর একটা আভা এসে পড়লো তার চোখে। প্রথমাবস্থায় তার মনে হলো লঞ্চের হেড লাইটের আলো। প্রায়ই এ ধরনের আলো ঔদিকটা থেকে আসে। অনেক লঞ্চ যায় ঐখান দিয়ে। লঞ্চের হেড লাইট মাঝে মধ্যেই ক্ষণিকের জন্য নদীর পাড়ের বাগানের উপড় দিয়ে জ্বলে উঠে। সাকিব মনে করলো এটা সে ধরনের কোন আলোর আভা। কিছুক্ষণ পর সাকিবের মাথার উপ তীক্ষè শব্দ ও আগেরবারের মত ক্ষণিকের জন্য আলোর আভা। এবার শরীরের উপড় দিয়ে যেন হালকা গরম বাতাস বয়ে গেল। ভয় পেয়ে উঠে দাঁড়ালো সাকিব। চারদিকে তাকাচ্ছে আর সামনের দিকে জোড় কদমে হাটছে। সামনেই কতগুলো দোকান। হাটতে হাটতে দোকানগুলোর কাছে চলে আসে। আসার সময় পিছনে ফিরে কয়েকবার তাকায় কিন্তু কিছুই মালুম হয় না। দোকানের সামনে আসলে মনে একটু জোড় আসে। এখানে কিছু লোক চা—বিস্কুট, পান—সিগারেট খাচ্ছে আর আড্ডা মারছে। সাকিব দোকানের এককোণায় এসে ঔইদিকটার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকে। কিছুই দেখতে পায় না। আরো কিছুক্ষণ একনজরে তাকিয়ে থাকে, হঠাৎ দেখে গোলাকার একটা থালার মত খুব দ্রুত আকাশের দিকে উড়ে যাচ্ছে। তিন—চার বার লাইটে ফ্লাশ মারে, তারপর অদৃশ্য। আগুনের ফুল্কির মত কি যেন একটা দ্রুতবেগে মাটিতে এসে পড়ে। একটু সময়ের মধ্যে তার চোখের সামনে অনেক আশ্চর্য কিছু ঘটে। সে চিন্তা করে আগুনের ফুল্কিটা দ্রুতবেগে যেখানে এসে পড়েছে সে জায়গাটা একবার দেখে আসবে কিন্তু রাতের বেলা বলে সাহসে কুলালো না। আরো কিছু দেখতে পাওয়ার আশায় রাত ১০ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সেখান থেকে চলে আসে। সকালে তার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরিফকে খুলে বলে বিষয়টা। তার কথা শুনে আরিফ বলল, ‘চল, এখনই গিয়ে দেখে আসি রহস্যটা আসলে কি।’