পারমাণবিক বোমা বানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন হিটলার। গোটা ইউরোপকে থার্ড রাইখের অধীনে নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর তিনি। বসে নেই আমেরিকা, তথা মিত্রবাহিনীও। আমেরিকার লস আলামোসে রবার্ট ওপেনহাইমারের নেতৃত্বে চালু হয়েছে ‘প্রজেক্ট ম্যানহাটন’। বাঘা বাঘা সব বিজ্ঞানী কাজ করছেন এই প্রজেক্টে। কিন্তু… …কিন্তু গোটা বিষয়টাকে যদি একটা ধাঁধা ধরা যায়, তবে সেই ধাঁধার একটা টুকরো হাতে নেই মিত্রবাহিনীর। সেই টুকরোটার নাম আলফ্রেড মেন্ডল। তার গবেষণা ছাড়া ম্যানহাটন প্রজেক্ট সফল করা সম্ভব হবে না কোনোভাবেই। আর তিনি আটকা পড়েছেন ইউরোপে, বন্দী হয়ে আছেন দুনিয়ার নরকখ্যাত অশৎউইয ক্যাম্পে। না বুঝেই তার গবেষণাপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে নাজিরা। তাহলে উপায়? উপায় আছে তো! অশৎউইয থেকে প্রফেসর মেন্ডলকে বের করে নিয়ে আসলেই ল্যাঠা চুকে যায়। কিন্তু এ যে শুধু কঠিনই নয়, অসম্ভব। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে অশৎউইয ক্যাম্পে ঢুকে পড়লো লেফটেন্যান্ট নাথান ব্লুম। ঢুকলো বটে, কিন্তু বেরোতে পারবে তো? তাও আবার প্রফেসর মেন্ডলকে নিয়ে? পাঠক, দমবন্ধ করে বসুন। নাথান ব্লুমের সাথে আরেকবার ফেরা যাক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই নারকীয় আর রোমাঞ্চকর দিনগুলিতে।