”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” আমি প্রায় ৪২ বৎসর যাবত সফলতার সাথে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করে আসছি। দীর্ঘ চিকিৎসা জীবনে আমি বিভিন্ন রকমের জটিল ও ক্রনিক ব্যাধি চিকিৎসা করে নিরাময় করেছি। হোমিওপ্যাথিক মতে রোগীর চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। সুচিকিৎসক হতে হলে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারী বিদ্যার পাশাপাশি রোগীর সাথে চিকিৎসকের সম্পর্ক কিরূপ রাখতে হবে, কিরূপে রোগীর রোগ বিষয়ক লক্ষণাদিকে সন্নিবেশিত করতে হবে, কিরূপে রোগীর গোপন কথা বের করতে হবে অর্থাৎ রোগীর সব ধরনের বিষয়-আশয় কৌশলের মাধ্যমে ডাক্তারকে সংগ্রহ করতে হবে। নবীন চিকিৎসকগণকে সুচিকিৎসক হতে হলে অনেক বিষয় সম্পর্কে পড়াশুনা ও সব বিষয়ের উপর সাধারণ জ্ঞান রাখতে হবে। আমার এ ক্ষুদ্র পুস্তক খানিতে হোমিওপ্যাথিক বিষয়-আশয়ের উপর আলোচনা করা হয়েছে। অতএব আমার বিশ্বাস এ পুস্তকখানি সুচিকিৎসক হওয়ার জন্য সহায়ক ও মোটা- মুটি সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করবে। চিকিৎসকের কর্তব্য রোগ ও ঔষধ নির্বাচন করা। আমি আমার এ পুস্তকখানি শুধু নবীন ও প্রবীন চিকিৎসকগণের জন্য লিখিনি, এ পুস্তকখানি যে সমস্ত শিক্ষিতলোক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে ভক্তি-শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস করেন, সে সকল ভদ্রলোকরাও যদি আমার এ পুস্তকখানি পড়েন তাহলেও তাদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পর্কে মোটা-মুটি ধারণা ও জ্ঞান অর্জন সম্ভব হবে এবং সর্বপরি তারা উপকৃত হবেন। এ ছাড়া যারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বিরোধী এবং শুধু বিরোধীই নহেন বরং আলোচনা সমালোচনা করতেও সদা প্রস্তুত তাদের জন্যও এ পুস্তকখানী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে অবগত হতে সাহায্য করবে। আমার প্রায় ৪২ বৎসরের সাধনায় এ পুস্তকের পাণ্ডুলিপি তৈরী হয়েছে। আমার সাধনার ব্যাপারে যারা বিভিন্নভাবে উৎসাহ ও সাহায্য করেছেন আমি তাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ। আমার এ পুস্তকখানি পাঠ করে যদি আপনারা উপকৃত হন তবেই আমার শ্রম সার্থক হবে। ইনশাহ আল্লাহ । বইটির তৃতীয় সংস্করণ প্রফেসর মডার্ণ হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স গাইড বইটি নতুন ধরনের পুস্তক । মোট ২১৫টি রোগ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এই গ্রন্থখানি চিকিৎসক ও ছাত্র সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত ও উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে গ্রন্থখানির প্রথম ও দ্বিতীয় এডিশন বিক্রি হয়ে যায়। বর্তমানে তৃতীয় এডিশনে আমার লেখা আরও দুটি রোগ-(ক) চিকুনগুনিয়া (খ) প্রতিবন্দী সংযোজন করায় পুস্তকটির ফর্মা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও বই-এর মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। এছাড়াও যে সকল ঔষধের সাহায্যে রোগ নিরাময় দ্রুত সম্ভব এবং ঔষধটি নির্ধারণের পথ সুগম করে এর আপ্রাণ চেষ্টাও আমি করেছি। বাংলা ভাষায় বর্তমানে অন্যান্য যত প্রাকটিশনার্স গাইড বই আছে তার প্রত্যেকটির সাথে এই বইটির পার্থক্য আছে। পুস্তকটি নিখুত, বিশ্বাসযোগ্য, পরীক্ষিত ও তথ্যসম্ভারে পূর্ণ। পুস্তকটির জনপ্রিয়তা স্মরণ করে আমি সর্ব বিষয়ে যত্নের সাথে প্রকাশনার চেষ্টা করছি। এ সংস্কারে পাঠক, ছাত্র, শিক্ষক ও চিকিৎসক সমাজ উপকৃত হলে আমার পরিশ্রম ও অর্থব্যয় সার্থক হয়েছে বলে মনে করব। বিনীত লেখক, প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম