জয়া সাদিয়াদের টিমটা নিয়ে নিধি আবার অ্যাডভেঞ্চারে বের হলো, এবার আর বাবাকে লাগলো না, নিধি তো বড় হয়ে গেছে, সে একাই লিখে ফেললো ‘হিয়ার খোঁজে’। পড়ে ভালো লাগলো। এই নগর জীবনের শিশু কিশোরদের একাকীত্ব আর মনস্তত্ব নিয়ে কেউ চিন্তা করে না, নিধি নিজে এই সময়টার মধ্যে আছে বলে হয়তো সে এই ক্রাইসিসটাকে আরো গভীরভাবে বুঝতে পারে। জনবহুল ঢাকা শহরে একজন কিশোরী মেয়ের জীবনে সবকিছু থাকার পরেও, কোনো অভাব না থাকার পরেও কিভাবে অসুখি হয়ে উঠতে পারে, ফ্রাস্টেশনে ভুগতে পারে, একা হয়ে যেতে পারে, নির্বাক হয়ে যেতে পারে তা নিধি যেন মর্মে মর্মে বুঝতে পারে! সেই গল্পটাই নিধি তুলে ধরেছে তার নতুন অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাসে। ক্রিয়েটিভ ঢাকা থেকে যখন ‘রেনুর পুতুল’ প্রকাশিত হয়, তখন নিধির বয়স ১৩ বছর। এই ছোট্টো মেয়েটির মধ্যে আমি দেখেছিলাম অনন্ত সম্ভাবনা। সে চিন্তা করতে পারে, চিন্তাকে সাজাতে পারে, গল্প বানাতে পারে, গল্পটা বলতে পারে। আমার প্রকাশনীর সব বড় বড় মানুষদের ভীড়ে প্রথম প্রকাশিত হলো একজন কিশোরীর লেখা উপন্যাস। আমার প্রকাশনীর সব বইয়ের ডিজাইনও আমার করা। কিন্তু রেনুর পুতুলের প্রচ্ছদ অলঙ্করণ সবই করেছিলো নিধি। পাঠকপ্রিয়তা পাওয়ার পর দায়িত্ব বেড়ে গেলো। এর মধ্যে খবর পেলাম নিধি আন্তর্জাতিক লেখক হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে ছাপা হয় তার গল্প, কন্টেন্ট এডিটর হিসেবে চাকরি করে আবার বেতনও পায়! এতোটুকুন বাচ্চা একটা মেয়ে! জয়া সাদিয়াদের টিমটা নিয়ে নিধি আবার অ্যাডভেঞ্চারে বের হলো, এবার আর বাবাকে লাগলো না, নিধি তো বড় হয়ে গেছে, সে একাই লিখে ফেললো ‘হিয়ার খোঁজে’। পড়ে ভালো লাগলো। এই নগর জীবনের শিশু কিশোরদের একাকীত্ব আর মনস্তত্ব নিয়ে কেউ চিন্তা করে না, নিধি নিজে এই সময়টার মধ্যে আছে বলে হয়তো সে এই ক্রাইসিসটাকে আরো গভীরভাবে বুঝতে পারে। জনবহুল ঢাকা শহরে একজন কিশোরী মেয়ের জীবনে সবকিছু থাকার পরেও, কোনো অভাব না থাকার পরেও কিভাবে অসুখি হয়ে উঠতে পারে, ফ্রাস্টেশনে ভুগতে পারে, একা হয়ে যেতে পারে, নির্বাক হয়ে যেতে পারে তা নিধি যেন মর্মে মর্মে বুঝতে পারে! সেই গল্পটাই নিধি তুলে ধরেছে তার নতুন অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাসে। বইটি শিশু কিশোরদের অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস, কিন্তু আমি মনে করি সবচেয়ে জরুরীভাবে পড়া উচিত প্রত্যেকটি বাবা মায়ের। আমি বিশ^াস করি একবার এই বইটি পড়ার পর প্রতিটি বাবা মা তার সন্তানকে দেখতে পাবেন নতুন এক দৃষ্টিতে। সবাইকে ছুঁয়ে যাবে ‘হিয়ার খোঁজে’, সবাইকে নতুন করে ভাবাবে ‘হিয়ার খোঁজে’। ‘রেনুর পুতুল’ এর মতো ‘হিয়ার খোঁজে’ও ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশন্স এর ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন। লেখক নিধি দিনে দিনে আরো অনেক বড় হয়ে উঠবে, বিশ্বের দরবারে বাংলা সাহিত্যকে তুলে ধরবে, সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম। পাঠকের প্রতি রইলো ভালোবাসা। প্রকাশক