হঠাৎ এলো এক দমকা হাওয়া আনন্দের রূপ ধরে। টাল সামলাতে না পেরে উল্টে গেল খন্দকার সাহেবের জীবনতরি। সেই সাথে পুরো পরিবারও হাবুডুবু খেতে লাগল। প্রচণ্ড ধাক্কায় সুস্থ-সবল খন্দকার সাহেবের হার্ট গেল প্রায় বিকল হয়ে। দেহের কোন রন্ধ্রপথে ক্যান্সারের জার্ম প্রবেশ করে অত্যন্ত মজবুতভাবে কোলনে বসতি গড়েছে। কুরে কুরে খেয়ে শরীরটাকে ঝাঁঝড়া করে ক্যান্সারের মাত্রা এসে পৌঁছে গেছে তৃতীয় পর্যায়ের শেষ প্রান্তে। এ কথাটা বুঝতেও অনেক সময়লেগেছিল। হার্ট নিয়ে খাবি খাচ্ছিলেন খন্দকার সাহেব। ঠিক সেই সময়ই ক্যন্সারের প্রতিক্রিয়া দেহে প্রকাশ পেল। বুঝতে পারল সবাই এর ভয়াবহতা। অচল প্রায় হার্ট আর সচল ক্যান্সার। প্রাণপণ লড়াই করলেন। জিততে পারলেন না খন্দকার সাহেব। খন্দকার রুহুল আমিন, জয়েন্ট চীফ, পরিকল্পনা কমিশন, বাংলাদেশ সরকার। দু'বছর তিনমাস পার হতে না হতেই চলে গেলেন তিনি না ফেরার দেশে। ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহ-২০১২। খন্দকার সাহেবের বাসায় এলেন মিঃফারুক, ক'জন সদস্য সাথে নিয়ে। সবাই হাঁটার পার্টনার। তারা যাবেন ঢাকার বাইরে। সাথে নিতে চান খন্দকার সাহেবকে-অনুমতির প্রয়োজন। তিনি ডায়াবেটিকের রোগী। গ্যাস্টিকের সমস্যা থাকায় গুরুপাক খাবার হজম হতো না সহজে। গুরুপাক খাবার খেয়ে একবার ল্যাবএইড হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল তিনদিন। আর একবার ল্যাব এইডের ইমার্জেন্সীতে প্রায় চার ঘন্টা অবজারভেশনে থাকতে হয়েছিল। তাই কোন অনুষ্ঠানে একা তাঁর অংশগ্রহণে আপত্তি থাকত পরিবারের সদস্যদের। এ কথা পরিচিত মহলের সবার জানা ছিল। ওনারা এসেছেন অনুরোধ নিয়ে যাতে খন্দকার সাহেবকে ওনাদের সাথে যেতে দেওয়া হয়। খন্দকার সাহেবের প্রতি সবাই নজর রাখবেন এ প্রতিশ্রুতি দিলেন ওনারা। সভাপতি ফারুক সাহেব মিঃ জাহিদ হোসেনকে ভার দিয়েছিলেন পুরোপুরিভাবে খন্দকার সাহেবকে দেখভাল করার জন্য। সে সানন্দে রাজি হয়ে গেল। আশ্বস্ত হলো পরিবারের সবাই। পরিবারের অনুমতি পেলেন খন্দকার সাহেব। যাবেন উনি তাদের সাথে আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে।