বইটির ভূমিকায় ডক্টর মারুফী খান লিখেছেন : বাংলার প্রকৃতি, সবুজ গাছপালা, অসংখ্য নদ-নদী, খাল-বিল, নিয়ে ঘিরে আছে জনপদ, উদার বিস্তৃত নীল আকাশ সাদা অথবা ধূসর মেঘের ভেলায় ছুঁয়ে আছে দিগন্ত- এমন যে দেশের পটভূমি, সেখানে মন আপনি ছোঁটে সবুজের পানে, সুন্দরের টানে। এ আকর্ষণ বড় তীব্র, বড় প্রাণ কেমন করা। মুহম্মদ আবুল হাসান তার কবিতায়, ছড়ায় নিজের মনে যে ছন্দ অনুভব করেছেন, তাতেই রঙ বুলিয়ে সৃষ্টি করে দিয়েছেন রঙ এবং রংধনু। হয়ত প্রচলিত ধারার পাশ কাটিয়ে তিনি আমাদের কখনো নিয়ে গিয়েছেন অন্য কোন জগতে, সে জগৎ সচরাচর আমাদের দৃষ্টিতে পড়ে না। কবি তার অন্তরে লালিত মানবতার স্বপ্নকে প্রকাশ করেন আকুলতায়, কল্পলোকের বাহারী শব্দমালায়। পড়তে পড়তে থমকে থামা, আবার এগিয়ে চলা নতুন পঙক্তির আহবানে। ছড়া, কবিতা যখন বিষয়ের কঠিনতাকে সহজ করে হৃদয়ে জায়গা নেয়, তখনই অনুভূত হয়- ছন্দ হলো ফাগুন দিনের পলাশমালা, মেঘলা রাতে কদম্ব ঘ্রাণ, গন্ধরাজের দুধ সাদা রঙ পাতার বাহার। কবি মুহম্মদ আবুল হাসান, আধুনিকতা নিজের মত করে ব্যবহার করেছেন ছন্দের শরীর নির্মাণে। একজন পেশাগত প্রকৌশলী, তার নিজের মত করেই সাজিয়ে দিয়েছেন ‘অবসরের ছড়া কবিতা' আমাদের জন্য। শুধু কি শব্দ গাঁথুনী? তাতেও যে প্রাণ দিতে হয়, জাগিয়ে তুলতে হয় ভালবাসার ভৈরবী রাগিনীতে। কবি মুহম্মদ আবুল হাসান এই চমৎকার কাজটি করেছেন অনায়াসে। অভিনন্দন কবিকে। ‘অবসরের ছড়া কবিতা’ পড়লাম। ঋদ্ধ হলাম। ভালো মন্দের দায় কবির হাতে থাকতে নেই। ইচ্ছা যখন ছন্দবদ্ধ হয়ে প্রসারিত হয়, অন্তর রাজ্যে আনন্দ মুক্তি তো তখুনি ঘটে যায়। যে মুক্ত, সেই তো কবি? নিরন্তর শুভ কামনা, কবি মুহম্মদ আবুল হাসানের জন্য। ডক্টর মারুফী খান