b "সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ /b br জুলাে চিতাবাঘ-এর বিমানবিকতার পর অনেক বেশি মানবিক হয়ে উঠেছে সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে-এর কবিতাগুলাে। সমাজ ও চারপাশের অশুভকে আমি ভুলি নি, যদিও কখনাে শ্লোগানে মেতে উঠি নি, এবং শুভর জন্যে আমার কামনা অন্তহীন থেকেছে সব। সময়ই। সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ কবিতাটির কথাই ধরা যাক;-সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাচ্ছে বলে আমি উল্লসিত হয়ে উঠি নি, বরং এক ট্র্যাজিক হাহাকারে ভরে উঠেছি এবং রয়েছে আমার তীব্র প্রেম-হৃদয়ের ও শরীরের, যা কবিতা পরস্পরায় বয়ে চলেছে। প্রেমে যেমন কোমল হয়ে উঠেছি, কামে যেমন প্রজ্জ্বলিত হয়েছি, তেমনি সমাজরাষ্ট্রকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছি। আমি কখনােই ভুলিনি ভাষার কথা, ভুল ভাষায় আমি কবিতা লিখি নি, ভাষাকে পরিসুত করতে চেয়েছি। কবিতার পর কবিতায়। কবিতাগুলােতে প্রবল হয়ে উঠেছে বক্রাঘাত। আমি শুরু থেকেই ছিলাম খাপ-না-খাওয়া মানুষ, এ-বইয়ের কবিতাগুলােতে প্রবলভাবে হয়ে উঠেছি খাপ-না-খাওয়া কবি, যদিও রােম্যান্টিক কবিতা থেকে আমি বাস করেছি অনেক দূরে। b "সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ /b br জুলাে চিতাবাঘ-এর বিমানবিকতার পর অনেক বেশি মানবিক হয়ে উঠেছে সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে-এর কবিতাগুলাে। সমাজ ও চারপাশের অশুভকে আমি ভুলি নি, যদিও কখনাে শ্লোগানে মেতে উঠি নি, এবং শুভর জন্যে আমার কামনা অন্তহীন থেকেছে সব। সময়ই। সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ কবিতাটির কথাই ধরা যাক;-সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাচ্ছে বলে আমি উল্লসিত হয়ে উঠি নি, বরং এক ট্র্যাজিক হাহাকারে ভরে উঠেছি এবং রয়েছে আমার তীব্র প্রেম-হৃদয়ের ও শরীরের, যা কবিতা পরস্পরায় বয়ে চলেছে। প্রেমে যেমন কোমল হয়ে উঠেছি, কামে যেমন প্রজ্জ্বলিত হয়েছি, তেমনি সমাজরাষ্ট্রকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছি। আমি কখনােই ভুলিনি ভাষার কথা, ভুল ভাষায় আমি কবিতা লিখি নি, ভাষাকে পরিসুত করতে চেয়েছি। কবিতার পর কবিতায়। কবিতাগুলােতে প্রবল হয়ে উঠেছে বক্রাঘাত। আমি শুরু থেকেই ছিলাম খাপ-না-খাওয়া মানুষ, এ-বইয়ের কবিতাগুলােতে প্রবলভাবে হয়ে উঠেছি খাপ-না-খাওয়া কবি, যদিও রােম্যান্টিক কবিতা থেকে আমি বাস করেছি অনেক দূরে।
প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত অভীষ্ট এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার মাধ্যমে ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কারের বিরুদ্ধে কলম তুলে নিয়ে বিশেষভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ। প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক এই লেখক একাধারে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, সমালোচক, গবেষক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার, ভাষাবিজ্ঞানী এবং অধ্যাপক। বাবা-মায়ের বড় সন্তান হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কাটে রাঢ়িখাল গ্রামে, যার কথা পরবর্তীতে তাঁর বিভিন্ন সাহিত্যকর্মে উঠে এসেছে। ম্যাট্রিকুলেশন ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। এখান থেকেই তিনি বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। হুমায়ুন আজাদ এর বই সমূহ নারীবাদকে তুলে ধরেছে ও ধর্মীয় মৌলবাদের প্রবল বিরোধিতা করেছে, যার ফলে তিনি একশ্রেণীর মানুষের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন। হুমায়ুন আজাদ এর বই এর মধ্যে 'পাক সার জমিন সাদ বাদ', 'সব কিছু ভেঙে পড়ে', 'ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল' ইত্যাদি উপন্যাস ও 'অলৌকিক স্টিমার', 'জ্বলো চিতাবাঘ', 'কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু' ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ উল্লেখযোগ্য। হুমায়ুন আজাদ এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'নারী' প্রবন্ধটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা একসময় নিষিদ্ধ হয়েছিল এই দেশে। প্রতিভাবান এই সাহিত্যিক ২০০৪ সালের ১১ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার', 'একুশে পদক' সহ আরো অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন হুমায়ুন আজাদ।