ডেভিড ফস্টার ওয়ালেস ছিলেন একজন আমেরিকান উপন্যাসিক, গল্পকার, এসেয়িস্ট, একজন আন-কনভেনশনাল জার্নালিস্ট, এবং ইংরেজি ও ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর প্রফেসর। উনি মোটামুটি রিসেন্ট সময়ের রাইটার, খুবই ইউনিক, সেন্সিটিভ, এবং অনেকের মতে উনি ওনার জেনারেশনের সবচেয়ে গ্রেট রাইটার। ওনার জন্ম ১৯৬২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, নিউ ইয়র্কে। কিন্তু বড় হইছেন ইলিনয়ে। তার বাবা ফিলোসফির প্রফেসর ছিলেন, মা ইংরেজির প্রফেসর ছিলেন। ডেভিড ফস্টার ওয়ালেস সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত তাঁর “ইনফিনিট জেস্ট” (১৯৯৬) উপন্যাসের জন্য। ১৪ বছর বয়স থেকে উনি নানা রকম মানসিক যন্ত্রণায় আক্রান্ত ছিলেন, ২০০৮ সালে ৪৬ বছর বয়সে সুইসাইডের মাধ্যমে যা শেষ হয়। বাংলাদেশে খুব-সম্ভবত এর আগে ওনার কোনো লেখার তরজমা করা হয় নাই। বাংলাদেশের লিটারারি স্পেইসে ওনার ব্যাপারে খুবেকটা জানাশোনা-ও সম্ভবত নাই। যে বইটার ভূমিকা হিশাবে এই লেখাটা লেখা হইতেছে, সেখানে ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের দুইটা নন-ফিকশন’কে বাংলায় তরজমা করা হইছে। একটা হইতেছে “দিস ইজ ওয়াটার”, যেটা অরিজিনালি একটা কমেন্সমেন্ট বক্তিতা, এবং এখানে উনি বেসিকালি আলাপ করসেন একটা হেলদি চিন্তা-পদ্ধতির ব্যাপারে, যেই চিন্তা-পদ্ধতি’তে নিজেকে পিথিবির সেন্টার হিশাবে ভাবার আন-কনশাস এজাম্পশন থেকা কেউ একজন বাইর হয়া আসতে পারে, এবং আশেপাশের শতশত ‘বিরক্তিকর মানুশ’দের সম্পর্কে অটোমেটিক ধারনা’গুলির বাইরে এসে অন্যান্য পসিবিলিটিজ চিন্তা করতে পারে; এবং সেটা করা কেন আসলে দরকার, এবং এরকম আরো অনেক কিছু আলাপ করা হইছে। অন্য নন-ফিকশন’টা হইতেছে “কন্সিডার দা লবস্টার”, যেখানে মেইন-লবস্টার-ফেস্টিভাল, ইউএস টুরিজম, লবস্টার’কে জ্যন্ত বয়েল করার নৈতিকতা, ইত্যাদি ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করা হইছে। এটা অরিজিনালি একটা ম্যাগাজিনের জন্য লেখা হইছিলো, এবং এই লেখাটা একজন এসেয়িস্ট হিশাবে আর একইসাথে একজন জার্নালিস্ট হিশাবে ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের ইউনিক নেচারের একটা ট্রেডমার্ক সেম্পল। দুইটা লেখার মধ্যেই আমেরিকান কালচারের ব্যাপারে ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং ক্রিটিক এম্বেডেড আছে, যা ওনার লেখালেখির একটা কোর ফিচার। এছাড়াও এ দুইটা লেখা থেকে পাঠক চাইলে, একজন মানুশ হিশাবে ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের সেন্সিটিভিটি আর স্ট্রাগল’গুলাকেও আঁচ করতে পারবেন।